অল্প সময়ের মধ্যে কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হতে পারে

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। ছবি: প্রথম আলো
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা গতকালের চেয়ে ভালো, তবে এখনো ঝুঁকি আছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের নামকরা হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। তাঁকে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সিঙ্গাপুর নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।

আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বিএসএমএমইউয়ে সংবাদ সম্মেলনে কনক কান্তি বড়ুয়া এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের নামকরা হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি ওবায়দুল কাদেরকে দেখেছেন। সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেবী শেঠি বলেছেন, আপনারা যে চিকিৎসা দিয়েছেন, চমৎকার চিকিৎসা হয়েছে। ইউরোপ–আমেরিকা হলেও একই চিকিৎসা হতো। এই রোগে এর বেশি কিছু করা সম্ভব না। ওনার অবস্থা কালকের চেয়ে মোটামুটি ভালো। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। কালকের চেয়ে অবস্থা ভালো হওয়ার কারণে তাঁকে আজ শিফট করা যেতে পারে। কারণ, এর চেয়ে অবস্থা খারাপ হলে তখন আর শিফট করা যাবে না।’

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, তাঁর এখনো ঝুঁকি আছে। তবে এ অবস্থায় চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁকে শিফট করা যাবে। এখন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও তাদের টিমের ওপর নির্ভর করছে তাঁকে কখন নিয়ে যাওয়া হবে। নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সৈয়দ আলী আহসান (কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান) বলেন, আজকে সকাল নয়টার পর থেকে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। প্রেশার ১১০ থেকে ৭০ হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ১২০-১৩০ হচ্ছে। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্সের যে বিষয়টি ছিল, সেটাও এখন নরমাল। তাঁর হাই ব্লাড সুগার ছিল, সেটাও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি নড়াচড়া করছেন। এবং ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়ার জন্য ইশারা করছেন। একটু কষ্ট হচ্ছে, সেই বিবেচনায় তাঁকে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে হলেও ভেন্টিলেটর খুলতে সময় লাগবে।

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক জটিলতার বিষয়ে ও তিনি ঝুঁকিমুক্ত কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, তাঁর ডায়াবেটিক অনিয়মিত পরীক্ষা করা হতো। আগেও হার্ট অ্যাটাক করেছিল। এরপর ঠিকভাবে শরীর চেকআপ করা হয়নি। তাঁর রক্তে ইনফেকশনের ব্যাপার আছে। সেটাও বেড়ে গেছে। তাঁকে শিফট করার এখনই ভালো সময়।

গতকাল রোববার ভোরে হঠাৎ শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। এরপর তাঁকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এনজিওগ্রাম করার পর তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।

আরও পড়ুন: