'গান আর কবিতা এক নয়, কিন্তু যন্ত্রসংগীত সবকিছু ছাপিয়ে হৃদয় হরণ করে নেয়'

>

ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান, নাসির আলী মামুন ও শামসুর রাহমান, ১৯৭৯।  ধ্রুপদি সংগীতের দারুণ সমঝদার ছিলেন ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর জন্ম নেওয়া এই কবি। ছবি: নাসির আলী মামুন, ফটোজিয়াম
ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান, নাসির আলী মামুন ও শামসুর রাহমান, ১৯৭৯। ধ্রুপদি সংগীতের দারুণ সমঝদার ছিলেন ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর জন্ম নেওয়া এই কবি। ছবি: নাসির আলী মামুন, ফটোজিয়াম

আধুনিক বাংলা কবিতার মহাতারকা শামসুর রাহমানের মৃত্যুদিন আজ। জীবনের শেষ বছরগুলোতে এই কবি ধ্রুপদি সংগীত শুনে আরম্ভ করতেন একেকটি দিন। শ্যামলীর বাড়িতে কবিতা লিখতে বসে নানাজনের বাজনা শুনে থাকতেন বিভোর। সংগীত ও কবিতা নিয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ও অপ্রকাশিত এ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় ২০০০ সালের ২০ অক্টোবর। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন নাসির আলী মামুন

নাসির আলী মামুন: এত যে গান শুনছেন এখন, গীতিকার হতে ইচ্ছে করেনি কখনো?

শামসুর রাহমান: একসময় আমি রেডিওতে পার্টটাইমার ছিলাম।

মামুন: কী করতেন আপনি?

রাহমান: এই কথিকা-টথিকা, এটা-সেটা...ইয়ে আরকি। ঠিক চাকরি ছিল না। রেডিও তখন প্রধান বিনোদন ও খবরের প্রধান কেন্দ্র ছিল তো। ওখানে বড় কবিরা অনুষ্ঠান করতেন। মনে আছে, একটা গান লিখে চার মাস পর পাঁচ টাকা বিল পেয়েছিলাম! বড় কবিদের সঙ্গে আবৃত্তি করেছি। কয়েকটি আলোচনা অনুষ্ঠানেও থেকেছি। আমাদের অনেক বন্ধু রেডিওতে চাকরি করত। গেলে আড্ডা হতো, বসে কখনো কিছু লিখেও দিয়ে এসেছি। সেগুলো এখন কোথায় হারিয়ে ফেলেছি, জানি না।

মামুন: খুঁজলে পাওয়া যেতে পারে?

রাহমান: ওটা হয় না। ফরমায়েশি লেখায় কী লিখেছি, মনে করতে পারছি না যেহেতু, তাই সেগুলো আর সংগ্রহের আগ্রহ নেই আমার।

মামুন: ছবিতে দেখেছি রেডিওর মাইক্রোফোনের সামনে অনেকটা ভীত আপনি, কবি আবদুল কাদির, বেগম সুফিয়া কামাল, ফররুখ আহমদ এবং আরও কেউ থাকতে পারে; সম্ভবত আলোচনা অনুষ্ঠানের ছবি ওটা।

রাহমান: পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের কিছুটা সময় তো পেছনেই থাকতে হয়েছিল। দৈনিক পত্রিকাগুলো তাঁদের হাতে ছিল। আমাদের কারও কারও লেখা ছাপতে চাইত। পরে নানা অজুহাতে বাদও দেওয়া হতো। তবে আমি কবিতা দিয়েছি, ছাপেনি—এমন হয়নি। হাসানের (হাসান হাফিজুর রহমান) হতো, সে প্রতিবাদ করে সেখানে লেখা দিত না। নাসির উদ্দীন (সওগাত সম্পাদক) সাহেব কবিতা বুঝতেন না, কিন্তু তিনি সওগাত-এ আমাদের কবিতা ছাপতেন। বাঙালি মুসলমানদের জন্য তাঁর একটা বিশেষ দরদ ছিল। এটা তিনি সারা জীবন লালন করেছেন। আমরা সওগাত-এ আড্ডা দিয়েছি। প্রুফ দেখে দিয়েছি। সৈয়দ শামসুল হক নিউজপ্রিন্টের প্যাডে পাশের রুমে সম্পাদক নাসির উদ্দীন সাহেবকে চা-নাশতা খাওয়ার জন্য ছোট্ট চিরকুট পাঠাতেন। লোক পাঠিয়ে তিনি চা-বিস্কুট এবং পাটুয়াটুলীর বিখ্যাত দোকান থেকে মিষ্টিও আনিয়ে আমাদের খাওয়াতেন। শিঙাড়া তাঁর পছন্দ ছিল। তিনি নিজেও খেতেন আমাদের সঙ্গে। কাজ করতেন আর অনেক গল্প করতেন, আমাদের উপদেশ দিতেন। কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন তাঁর আদর্শ। তবে তিনি যে সওগাত-এ নজরুলের কবিতা ছেপেছিলেন, যা না হলে নজরুল কবি হতে পারতেন না, অভিভাবকের মতো সে কথা বলতেও ভুল করতেন না। আমাদের বলতেন, ‘তোমরা কাজী নজরুল ইসলামের মতো কবি হইতে পারবা না!’ হাসান হাফিজুর রহমান একবার বলে ফেলেছিল, ‘আমরা তাঁর মতো কবি হতে আসিনি।’

মামুন: তখন মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সাহেব কী বললেন?

রাহমান: তিনি রাগ করলেন না। ছিলেন আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে, এর মধ্যে জোরে হেসে একটা অতি পুরোনো ফাঙ্গাস পড়া বাঁধানো পত্রিকা নিয়ে এলেন—সওগাত-এর অনেকগুলো সংখ্যা। পড়তে দিলেন। অনেকক্ষণ পেছনে দাঁড়িয়ে দেখলেন আমরা কী করি। আমরা করলাম কী...প্রত্যেকে একবার করে ভারী পত্রিকাটি কয়েক পৃষ্ঠা উল্টে একজন আরেকজনের কাছে হস্তান্তর করি। কিন্তু এক পৃষ্ঠাও পড়লাম না। এই দৃশ্য দেখে তিনি রেগে গিয়ে পত্রিকার পৃষ্ঠা ওল্টাতে লাগলেন। যা খুঁজছিলেন, সম্ভবত পাচ্ছিলেন না। কয়েক মিনিট পর পেলেন এবং আমাকে পড়তে বললেন। সেখানে ছিল আমাদের জ্যেষ্ঠ কবিদের কবিতা, কাজী নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটিও পুনমুর্দ্রিত ছিল মনে হচ্ছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবেই চশমাটা লুকিয়ে রেখে হাসান হাফিজুর রহমানের হাতে পত্রিকাটি দিই। হাসান না পড়েই কিছুক্ষণ পর ‘বাহ্, বেশ, বাহবা, দারুণ কবিতা লিখেছে!’ বলে মৃদু হাসিতে তাঁর মত জানিয়ে দিলেন। নাসির উদ্দীন সাহেব ভাবলেন, এরা অন্তত মনে মনে কবিতাগুলো পড়েছে। তিনি চুপ করে পাশের রুমে চলে গেলেন। দশ মিনিটের মধ্যে প্রেসের এক কর্মচারী মিষ্টি নিয়ে হাজির, ‘সম্পাদক সাহেব আপনাদের পাঠিয়েছেন। খেতে বলেছেন।’ মিষ্টি খেয়ে মুখ টিপে হাসছি সবাই। তিনি কৃপণ ছিলেন ঠিকই, কিন্তু সারা জীবন আগ্রহ নিয়ে মুসলিম সাহিত্যিকদের লেখা প্রকাশ করেছেন। এমন একপেশে উদার মানুষ আমি দেখিনি।

তিনি গান শুনতেন। নজরুলের গান খুব পছন্দ করতেন। তাঁর কাছে একটা পুরোনো রেডিও দেখেছিলাম। ভালো কোনো বাদ্যযন্ত্র বা কণ্ঠসংগীত শুনলে দু-চারবার আমাকে ডেকে পাঠাতেন, ‘দেখো, তোমাদের গীতিকারদের গান, আর ওদের গান...।’ তাঁর পছন্দ ছিল পুরোনো দিনের গান। আমি মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিতাম তাঁকে। ধীরে ধীরে জানলাম, তাঁর গান শোনার কানটি বেশ রুচিশীল। নজরুল কীভাবে গান লিখতেন, এইচএমভির স্টুডিওতে কীভাবে গল্প করতেন আর পান খেতেন—অনেকক্ষণ বলে যেতেন। আমি শুনতাম, কোনো মন্তব্য করতাম না। শ্রোতা হিসেবে আমাকে আমলে নিতেন তিনি। গান লিখতে বলেছিলেন আমাকে।

মামুন: গীতিকার হয়েছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণায়?

রাহমান: গান লিখেছি। গান লিখলেই কেউ গীতিকার হয়ে যায় না। কিছু গান লিখেছি বন্ধুদের অনুরোধে, রেডিওতে প্রচারের জন্য। আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মনিরুজ্জামান ও আমাকে দিয়ে কিছু গান লেখিয়ে নিয়েছে। আবু হেনার কিছু আধুনিক বাংলা গান জনপ্রিয় হয়েছিল। মনিরুজ্জামান নিয়মিত গান লিখতেন। অনেকেই গান লিখতে আগ্রহী। আমি এখানে পারদর্শী নই। হলেও আগ্রহী হতাম না।

মামুন: গান তো কবিতা। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, নজরুল লিখেছেন, তাঁরা তো কবিতার প্রবাদপুরুষ। রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান কালজয়ী।

রাহমান: রবীন্দ্রনাথের সব কবিতাই কি গান? তাহলে তিনি রবীন্দ্রসংগীত আলাদা করে রচনা করতে গেলেন কেন? কবিতা গান নয়, সংগীত কবিতা নয়। গীতিকার গান লিখলে সেটি গান হয় তখন, যখন একদল দক্ষ মানুষ সেটিকে লালন করেন। সংগীত পরিচালকের দরকার হয়, একদল যন্ত্রী লাগে। গীতিকার একা সবকিছু করতে পারেন না। কবিরা অন্যের সাহায্য ছাড়া কবিতা লিখে পাঠকদের সামনে উপস্থিত হতে পারেন। কারও বই ছাপা বা কবিতা গ্রন্থভুক্ত না হলেও কবি নিজেই পাঠকদের কাছে যেতে পারেন। এখানে অন্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই। কবি কুহেলিকাময় এক জগতে বাস করেন। সেখানে তিনি একা, নিমগ্ন ও নিঃসঙ্গ। আমার মতে, কবিতা হলো সাহিত্যের আদর্শ। মহাকালকে সামনে রেখে কবিরা নিয়ত একটা চিন্তাশীল ও অলস কিন্তু কী বলব...একটা স্বসৃষ্ট দর্শনের মধ্য দিয়ে কবিকে চলতে হয়। হয়তো কেউ অন্য মত পোষণ করতে পারে। আমার তো মনে হয়, সংগীত কবিতার মধ্যে নেই। কবিরা সুরের মধ্যে আবিষ্ট নেই। কবিরা নিরলসভাবে অলস, মোহাচ্ছন্ন, শান্তিপ্রিয় একটি কাল্পনিক জগৎ সৃষ্টি করতে চান। এখানেই তাঁরা সাহিত্যের সৃষ্টিশীল সব বিষয় থেকে আলাদা। ‘কবি’ বললে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ কাউকে সম্বোধন করা হয়। সাহিত্যের অন্য কাউকে এভাবে কেউ দেখে না।

মামুন: কবিরা কেন এই মর্যাদা পান?

রাহমান: বলেছি তো, কবিরা এমন কিছু সৃষ্টি করেন, যা অন্য কোনো সাহিত্যিক বা লেখক পারেন না। যে কারণে স্বপ্ন, প্রেম ও শান্তিমাখা কবিতায় ভর করে পাঠক মানসিক শক্তি পায়, আবেগে অশ্রুসজল তাদের হয়, তারা আনন্দে উদ্বেলিত হয় আর ভালোবাসতে শেখে। কবিরা এসব কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে।

মামুন: জীবনানন্দ দাশ যদি গান লিখতেন, তাহলে কী হতে পারত?

রাহমান: জীবনানন্দ জানতেন, তাঁকে কবি হতে হবে। হয়তো তাই ঘোরের মধ্যে মানবজীবন কাটিয়ে দিলেন। কলকাতায় তাঁকে দেখেছি পলায়নপর ভীত একজন মানুষ। মাত্র একবার দেখেছি। বারবার দেখা হলেও জীবনানন্দ দাশকে একই রকম মনে হতো। কারণ, তিনি গীতিকার নন, কবি। তুমি বলছ, যদি তিনি গান লিখতেন...তিনি গান লিখতে যাবেন কেন?

মামুন: রেডিওতে যাতায়াতের কারণে যেসব কবির সঙ্গে আপনার সখ্য হয়েছিল, তাঁদের কবিতা পড়তেন?

রাহমান: তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়নি। তাঁরা বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণদের কবিতা পড়তেনও না, পছন্দও করতেন না। তাঁদের মতো করে লিখিনি আমরা পঞ্চাশের বা ষাটের কোনো কবি। হ্যাঁ, তাঁদের কবিতা পড়তে হয়েছে স্কুল-কলেজে, ছাত্রাবস্থায় (হাসি)।

মামুন: লেখার টেবিলে আপনি যন্ত্রসংগীত শোনেন। বাজনা ও কলমের লেখায় একধরনের রাগ-রাগিণীর সৃষ্টি হয় না?

রাহমান: হয়, হয় তো! মানে ওটা এ রকম ব্যাপার হয় যে সংগীত, বিশেষ করে আমার কাছে রাগসংগীত বা ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক গভীর আবেদন সৃষ্টি করে। সকালে উঠে আমি নাশতা সেরে যখন টেবিলে বসি, যন্ত্রসংগীত তখন আমার মধ্যে স্বপ্ন ও দর্শনের এক যুগলবন্দী অর্কেস্ট্রেশন তৈরি করে। আমি ঘুমিয়ে পড়ি না, আরও মানসিক শক্তি নিয়ে জেগে উঠি। গান আর কবিতা এক নয়, কিন্তু যন্ত্রসংগীত সবকিছুকে ছাপিয়ে হৃদয় হরণ করে নেয়।

মামুন: যদি পাশ্চাত্যের সংগীত হয়?

রাহমান: মোজার্ট, বাখ বা বিসমিল্লাহ খানদের যন্ত্রসংগীত কাকে না আচ্ছন্ন করে! এর তো কোনো ভাষার দরকার নেই। যন্ত্র অনেক সময় আমাকে প্যারালাইজড করে রাখে।

মামুন: কবিতাও কি এমন করে কখনো?

রাহমান: কবিতাও করে। ওই যে ঘোরের মধ্যে বসবাস। এটা তো স্বাভাবিক নয়। স্বপ্ন ও অপার্থিব আনন্দ, কখনো আবার বেদনা থেকেও শুরু হয় কবিতার পথচলা।

মামুন: কবিতা কি সব সময় কবির নিয়ন্ত্রণে থাকে?

রাহমান: সব সময় থাকে, এটা আমি মনে করি না। কবিতা তো অপ্রতিরোধ্য স্বপ্নময় শক্তি। এটা কখনো কবি মানুষটিকে দূরত্বে ফেলে চলে যায়, আবার ফিরেও আসে। কবিরা খুব সতর্ক। মানবসভ্যতার প্রতিটি স্বপ্নের সঙ্গে তারা যুগলবন্দী করে। সমাজের ইশারা তারা বুঝতে পারে। সময় তাদের সঙ্গে চলতে পারে না, কবিরা আগে চলে। তবে কবিতার চেয়ে সংগীত অনেক উদার ও বাস্তব।

মামুন: যাঁদের গান বা যন্ত্রসংগীত হৃদয় দিয়ে শোনেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের আগ্রহ নেই কেন আপনার?

রাহমান: কাকতালীয়ভাবে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে ঢাকা ও কলকাতায়। তাঁদের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, কথাও বলেছি। কিন্তু কেন যেন খুব ঘনিষ্ঠতা হয়ে ওঠেনি। যখন তাঁদের কণ্ঠ বা বাজনা শুনি, তখন তো আমি তাঁদের শিষ্য হয়ে যাই আরকি। ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ সাহেব যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখন তাঁকে দেখেছি বর্ধমান হাউসে। তিনি প্রার্থনার বাজনা বাজাতেন। ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আমার। তিনি আমার ও আল মাহমুদের বই পড়েছেন। অনেকবার তাঁর সরোদ শুনেছি। খুব আমুদে ছিলেন। একবার তুমিই তো আমাকে নিয়ে গেলে আবেদ হোসেন খান সাহেবের বাসায়। বাহাদুর হোসেন খান সরোদ বাজাতে শুরু করলে তুমি তো তাঁর অনেকগুলো ছবি তুলেছিলে। সার্কের অনুষ্ঠানে আমজাদ আলী খানের বাজনা শুনে সেদিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি। আমার বন্ধু সাঈদ আহমদ, তার ভাই হামিদুর রাহমান, তাদের পরিবারে সংগীতের আসর বসত। দু-একবার গিয়েছি। তারা নিজেরাও বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারত।

মামুন: আপনি নিজে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে না পারলেও হৃদয়ে বাদ্যযন্ত্র মনে হয় বাজে।

রাহমান: বলেছ ঠিকই। আমি যখন কবিতা লিখি, তখন কে যেন আমার কানের কাছে এসে যন্ত্রের সুর ছুড়ে দেয়। জানি না এগুলো কীভাবে হয়! ভাবতে ভালোই লাগে।