নাটোরে রানীক্ষেত রোগে এক দিনে দেড় হাজার মুরগির মৃত্যু

নাটোরের বড়াইগ্রামের আবু সাঈদের খামারের দেড় হাজার মুরগি রাণীক্ষেত রোগে মারা গেছে।
ছবি: প্রথম আলো

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খামারি আবু সাঈদের ১ দিনেই ১ হাজার ৫৫০টি মুরগি রানীক্ষেত রোগে মারা গেছে। মৃত মুরগির ময়নাতদন্ত শেষে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রানীক্ষেত রোগের দ্বিতীয় ডোজ টিকা না দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

মুরগি খামারি আবু সাঈদ জানান, সম্প্রতি সরকারের কাছ থেকে তিনি পাঁচ শতক জমি ও দুই কক্ষের ঘর বরাদ্দ পান। ভাগ্য ফেরানোর জন্য নতুন ঘরে মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ঋণ করে ১ হাজার ৫৫০টি মুরগির বাচ্চা কিনে পালন শুরু করেন। গত ৪৫ দিনে প্রতিটি মুরগির ওজন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম করে হয়েছিল। সপ্তাহ দুয়েক পরেই মুরগিগুলো বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল সাঈদের।

কিন্তু গতকাল রোববারে হঠাৎ একেক করে সব মুরগি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আজ দুপুরের মধ্যে সব মুরগি মারা যায়। এতে তাঁর অন্তত আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন সাঈদ। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাগ্যের পরিহাস মানতে পারছি না। আমি এখন কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুন্ডু বলেন, মারা যাওয়া মুরগির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মুরগিগুলোর রানীক্ষেত রোগে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই খামারি বাজারের ফিড ব্যবসায়ীদের পরামর্শে খামার পরিচালনা করেছেন। তিনি মুরগিকে রানীক্ষেত রোগের প্রথম ডোজ টিকা দিলেও দ্বিতীয় ডোজ দেননি। তাই মুরগিগুলোকে বাঁচানো যায়নি। শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছে। ততক্ষণে কিছুই করার ছিল না।