পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান

পরিত্যক্ত ভবনে চলছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঐহিত্যবাহী খোশবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। শ্রেণিকক্ষ–সংকটের কারণে বিদ্যালয়টির কিছু শিক্ষার্থী এভাবে ক্লাস করছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯০৩ সালে খোশবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। ওই সময় পাঁচ কক্ষের একটি টিনশেড ভবনে এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পর ২০০৩ সালে একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩–এর অধীনে ওই ভবন ভেঙে দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে ছয়টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কক্ষে পাঠদান চলে। একটি কক্ষে ঠাসাঠাসি করে নয়জন শিক্ষক বসেন। সংস্কারের অভাবে পুরোনো টিনশেড ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর টিনের চালে অসংখ্য ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে।
বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে ৫৩, প্রথম শ্রেণিতে ৬৩, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬৬, তৃতীয় শ্রেণিতে ৮৯, চতুর্থ শ্রেণিতে ৮৩, পঞ্চম শ্রেণিতে ৮৬ জনসহ ৪৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দুই শাখায় পাঠদান করা হয়। এর মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির একটি শাখার শিক্ষার্থীদের পাঠদান জরাজীর্ণ ভবনে করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, পশ্চিম পাশের টিনশেডের লম্বাকৃতি ভবনের পলেস্তারা খসে পড়েছে। টিনের চাল উড়ে গেছে। যেখানে কিছু টিন রয়েছে, তার ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টি হলে পানি পড়ে।
প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি তিন মাস অন্তর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হবে।