বেপরোয়া চালকের যাবজ্জীবন

সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মিশুক মুনীর, চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার জন্য দায়ী বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রায়ের পর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছবিটি তুলেছেন আশরাফুল আলম
সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মিশুক মুনীর, চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার জন্য দায়ী বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রায়ের পর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছবিটি তুলেছেন আশরাফুল আলম

বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনকে হত্যার দায়ে বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে মামলার একমাত্র আসামি জামির হোসেন ওরফে জমির ড্রাইভারের জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় থাকা জামিরকে নির্লিপ্ত দেখা যায়। রায়ের পর পুলিশ তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়।

তারেক মাসুদ  ও    মিশুক মুনীর
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নজির নেই বলে জানিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এর আগে এক ট্রাকচালকের ১৪ বছর কারাদণ্ড হয়েছিল বলে জানা যায়। ওই চালকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে আরেকটি ট্রাককে ধাক্কা দিয়ে চালককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
রায়ের পর বাদীপক্ষের আইনজীবী মানিকগঞ্জের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আফসারুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মাধব সাহা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বেপরোয়া গতির বাস ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে বহনকারী একটি মাইক্রোবাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন প্রাণ হারান। গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, মাইক্রোবাসচালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম হোসেন ও জামাল হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলি। তাঁরা কাগজের ফুল ছবির শুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।

আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে সকাল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীরা অবস্থান নেন। অন্য আইনজীবীরাও আগ্রহ নিয়ে রায় শোনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এ সময় আদালত কক্ষ ও এর বাইরে আইনজীবী, সাংবাদিক ও উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। বিচারক ৫৫ পৃষ্ঠার রায়ের আদেশসহ নির্বাচিত অংশ পড়েই আবার খাসকামরায় চলে যান।

মূল আদেশ

বিচারক তাঁর আদেশে বলেন, জামির হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৪২৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁকে ৩০৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো। আর দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং আনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামির উভয় দণ্ড একত্রে চলবে।

২০১১ সালে এই সড়ক দুর্ঘটনায় ঘিওর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। একমাত্র আসামি করা হয় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের চালক জামির হোসেনকে।

মামলা দায়েরের আট মাস পর জামিরের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে জামির হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এগুলো হচ্ছে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো (ধারা ২৭৯), সাধারণ জখম (৩৩৭), গুরুতর জখম (৩৩৮ক), খুন নয় এমন নরহত্যা (৩০৪) ও মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করা (৪২৭)।

এর মধ্যে আদালত গতকাল ৩০৪ ও ৪২৭ ধারায় জামিরকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করেন। রায়ে বলা হয়, আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় বাকি ধারাগুলোতে পুনরায় সাজা দেওয়ার যুক্তিসংগত কোনো কারণ নেই।

আদালতে বিচার চলাকালে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাও ছিলেন। আসামির পক্ষে দুজন সাফাই সাক্ষী দেন।

চালকের যেসব অপরাধ

জামির হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে চারটি বিষয় আমলে নিয়েছেন আদালত। এগুলো হচ্ছে গাড়ির বেপরোয়া গতি, মেয়াদোত্তীর্ণ চালক লাইসেন্স, ফিটনেস সনদবিহীন বাস ও গতি নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা অকেজো করে রাখা।

রায়ে বলা হয়, বিআরটিএর রেকর্ড মোতাবেক দুর্ঘটনার সময় জামির হোসেনের চালক লাইসেন্সটি তিন বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। পরে তিনি লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদনের একটি স্লিপ আদালতে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিআরটিএ থেকে প্রাপ্ত পত্রে স্পষ্ট বলা হয়, জামিরের দেওয়া স্লিপটি ছিল ভুয়া। সেটি বিআরটিএ থেকে সরবরাহ করা হয়নি।

রায়ে আরও বলা হয়, অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ ছিল না। একই সঙ্গে আসামি বাসটির গতি নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রটি (স্পিড গভর্নর) কারসাজি করে রেখেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রিত গতির চেয়ে অধিক গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বিআরটিএর উপপরিচালক আবদুস সাত্তার দুর্ঘটনাকবলিত দুটি যানবাহনের তদন্ত করেন। তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্রটি কারসাজি (ট্যাম্পার্ড) করা ছিল।

মোটর যান আইনে সব যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। বর্তমানে মহাসড়কে বাসের নির্ধারিত গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার। স্পিড গভর্নর যন্ত্রে এই গতিসীমা বেঁধে দেওয়া হলে চালক চাইলেও এর বেশি গতি তুলতে পারেন না। কিন্তু প্রায় সব বাসেই এই ব্যবস্থা অকেজো করে রাখা আছে।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামি জামির ওই দিন রাত চারটায় বাস নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসেন। ঢাকা থেকে কোনো বিরতি না দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় একই বাসে যাত্রী নিয়ে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে আবার রওনা দেন। রাত জাগা ও পরিশ্রমের ফলে আসামির ভেতর গা-ছাড়া বা অবহেলার ভাব আসা বিচিত্র নয়।

রায়ে বলা হয়, ঘটনাস্থলের আগে মহাসড়কে দুটি বাঁক রয়েছে। একটি ঘটনাস্থল থেকে ১৭৫ ফুট ও অন্যটি ৪৫০ ফুট দূরত্বে। চালক জামিরের বাসটির আগে একটি মিনিবাস ছিল। সেই মিনিবাসটিকে পাশ কাটিয়ে (ওভারটেক) মাইক্রোবাসটিকে ডান দিকে অর্থাৎ চালকের আসনের পাশে আঘাত করে জামিরের বাস।

বিচারক রায়ে বলেন, এজাহার, অভিযোগপত্র, খসড়া মানচিত্র, বিআরটিএর চিঠি, জব্দ করা ভুয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স, নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীর অভিন্ন ও অকাট্য সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, আসামি বাসটিকে বৃষ্টি ও বাঁকের মধ্যে অবহেলার সঙ্গে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে একটি মিনিবাসকে ওভারটেক করে মাইক্রোবাসটিকে নির্মমভাবে আঘাত করেন। এর ফলে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচটি তরতাজা প্রাণ ঝরে যায়। আসামির বেপরোয়া আচরণ ও অবহেলার কারণেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

আসামির পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষী দেন ওই বাসের যাত্রী শাহনেওয়াজ রয়েল ও অধ্যাপিকা নাসরিন আশরাফী। রায়ে বলা হয়, এঁদের কেউই ওই বাসের যাত্রী হওয়ার প্রমাণ হিসেবে বাসের টিকিট আনেননি। এ দুজন সারা জীবনে এবং ঘটনার পর থেকে অসংখ্যবার বাসে ওঠার কথা। একটি নির্দিষ্ট দিনে কোন বাসে উঠেছিলেন তা মনে রাখা দুঃসাধ্য। তাঁরা যদি ঘটনার পর কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিতেন, তাহলে অনেকটাই বিশ্বাসযোগ্য হতো।

এ ছাড়া শাহনেওয়াজ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থলে কোনো বাঁক নেই। আর তিনি ছিলেন বাসের বাঁ দিকে চার আসন পেছনে। ফলে ডান দিকের বিষয় দেখা সম্ভবপর নয়। আর নাসরিন আশরাফীও বলেছেন সেখানে বাঁক ছিল না। তাঁর চশমার পাওয়ার ৩.৫০। ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির একজন বয়স্ক মহিলার পক্ষে দীর্ঘদিনের আগের বৃষ্টির মধ্যে সংঘটিত কোনো ঘটনার সঠিক বিবরণ দেওয়া আদৌ সম্ভবপর নয়।

মামলা নিয়ে টানাপোড়েন

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর নিহত হওয়ার পর সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয় নাগরিক সমাজ। শহীদ মিনারসহ নানা স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মামলা ৩০২ ধারা অর্থাৎ হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচনার।

নাগরিক সমাজের অবস্থানের পাল্টা হিসেবে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানও উপস্থিত ছিলেন।

২০১১ সালের ১৪ আগস্ট অর্থাৎ দুর্ঘটনার পরদিনই জামির হোসেনকে মেহেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামিন দেওয়া হয় ওই বছরের ১৭ নভেম্বর।

গতকাল রায় ঘোষণার আগে আদালত প্রাঙ্গণে জামির নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। উল্টো তিনি মাইক্রোবাস চালকের ওপর দায় চাপান। রায়ের পর চুয়াডাঙ্গায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

পরে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে কোনো চালকের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার নজির নেই। এ বিষয়ে তাঁরা বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।

নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা যা বললেন

মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী রায়ে সন্তুষ্ট। প্রথম আলোকে গতকাল তিনি বলেন, ‘এটি একটি যুগান্তকারী রায়। বিজ্ঞ আদালত বিচার-বিবেচনা করে রায় দিয়েছেন। হাইকোর্টে যদিও আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আশা করি রায় বাস্তবায়ন হবে। এই রায় নজির হিসেবে ব্যবহার হবে, অন্য যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, তাঁরাও বিচার পাবেন।’

মিশুক মুনীরের স্ত্রী বলেন, একজন দোষী গাড়িচালকের বিচার হলে অন্যরা সতর্ক হবেন। তাঁরা বুঝবেন, কাউকে হত্যা করলে পার পাওয়া যাবে না। আইনটির শুধু কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।

তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ভয়ংকর দিনে তারেক, মিশুকসহ আরও যাঁদের আমরা হারিয়েছিলাম, পৃথিবীর কোনো আদালত আর তাঁদের ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তবু তাঁদের অনুপস্থিতিতে এতগুলো বছর যে দুর্বিষহ যন্ত্রণা আমরা সয়েছি, এই রায় কিছুটা হলেও তার দায় মেটাল।’

আপিলেও রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চুয়াডাঙ্গায় পরিবহন ধর্মঘট

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চালক জামির হোসেনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় হওয়ায় রায়ের পরপরই ওই জেলায় অনির্দিষ্টকাল পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন পরিবহনশ্রমিকেরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল মুঠোফোনে জানান, শ্রমিকেরা নিজেরাই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, শ্রমিকেরা মালিকদের সঙ্গে আলাপ না করেই ধর্মঘটে গেছেন।