মানহানি ও ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলায় জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

ঢাকার পৃথক দুটি মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস জামিনের আদেশ দেন। ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন তাপস কুমার পাল।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আদালতকে বলেন, দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ জামিনযোগ্য ধারা। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, খালেদা জিয়া আর সাধারণ মানুষ এক নন। তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করা হোক। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ৫ জুলাই এ দুটি মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিন চাওয়া হয়। কিন্তু ওই আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, রাজাকার-আলবদর নেতা-কর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাঁদের বাড়ি-গাড়িতে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।

ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকার আদালতে আরেকটি নালিশি মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। এ মামলাতেও আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।


জিয়া চ্যারিটেবল মামলা
জিয়া চ্যারিটেবল মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে আগামী ৭ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই দিন ঠিক করেন। একই সঙ্গে আদালত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী শুনানির তারিখ পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সরেজমিন আদালতে দেখা যায়, আদালত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। তবে খালেদা জিয়াকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি।

৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়াসহ চারজন। আর ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এর মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা কারাগারে আছেন।