মেলার নামে লটারি-বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশ
যশোর টাউন হল মাঠে গ্রামীণ শিল্প মেলার নামে লটারি-বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সোহেল হাসান আজ সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে লটারি–বাণিজ্য বন্ধ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাংশ ও সাতটি বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতারা। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক লটারি–বাণিজ্য বন্ধের আশ্বাস দেন রাজনৈতিক নেতাদের ।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাসদের জেলা সভাপতি রবিউল আলম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ও পলিট ব্যুরোর সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ ও জেলা সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সিপিবির জেলা সভাপতি আবুল হোসেন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের জেলা সভাপতি মাস্টার নূরজালাল, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক হাসিনুর রহমান, বাসদ সমন্বয়ক শাহজাহান আলী, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকী, জাকির হোসেন প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, গ্রামীণ শিল্প মেলা শুরুর পরদিন থেকে লটারির নামে অবৈধ জুয়া–বাণিজ্য শুরু হয়। এর মাধ্যমে গ্রাম-শহরের গরিব মানুষের টাকা লুট করা হচ্ছে। ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এর মাধ্যমে একটি চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যশোরের ‘সিটি ক্যাবল’ বেআইনিভাবে প্রতি রাতে এ জুয়া সরাসরি সম্প্রচার করছে। এ ধরনের বেআইনি কাজ প্রশাসনের সামনে করা হলেও প্রশাসন নীরব ও নির্বিকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সোহেল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর স্মারকলিপি পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লটারি-বাণিজ্য বন্ধের জন্য মেলা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দৈনিক প্রথম আলোতে ‘যশোরে মেলার নামে লটারি-বাণিজ্য’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ও ছবি প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই মেলার নামে লটারি-বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হন যশোরের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা। গতকাল রোববার সাতটি বাম সংগঠনের সভায় মেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
যশোরে মেলার নামে লটারি-বাণিজ্য