সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

ডিপোর ভেতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে রাসায়নিকের ছোট ছোট কনটেইনারের ধ্বংসাবশেষ। পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা, ছবি: সৌরভ দাশ

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার দুই দিন পার হলেও মামলা হয়নি। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে।’

পরে ঘটনাস্থলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনিও জানান, এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা হবে।

এদিকে স্থানীয় লোকজন ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। সুষ্ঠু বিচার না হলে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ৪১ জন। তাঁদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য রয়েছেন নয়জন। আহত হন প্রায় ২৫০ জন।

আগুন লাগার পরপরই তা নেভাতে কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একপর্যায়ে আগুন ছড়িয়ে রাসায়নিক থাকা কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ডিপো এলাকা।

নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ বিনিয়োগে এই কনটেইনার ডিপো গড়ে ওঠে। এখানে বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপের অংশীদারি রয়েছে। যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেটিও স্মার্ট গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান আল রাজী কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের।

পোশাক, এলপিজি ও খাদ্যপণ্য খাতে বিনিয়োগ রয়েছে স্মার্ট গ্রুপের। এই কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিএম কনটেইনার ডিপোর চেয়ারম্যান বার্ট প্রঙ্ক।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরিচালক হলেন স্মার্ট জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান। মুজিবুর ও মোস্তাফিজুর দুই ভাই। মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে আছেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। তবে তাতে সাড়া দেয়নি দল।

আরও পড়ুন