মামলাজট যেভাবেই হোক কমাতে হবে: প্রধান বিচারপতি
কঠোর পরিশ্রম করে বিচারকদের মামলাজট কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যাঁরা জুডিশিয়ারিতে (বিচার বিভাগ) আছি, তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, এ দেশের মানুষকে বিচারিক সেবা দেওয়া। আদালতগুলোয় অনেক মামলা জমে গেছে। মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি, কঠোর পরিশ্রম করবেন। এখন যে পরিমাণ কেস (মামলা) হচ্ছে, তার চেয়ে ডিসপোজাল রেট (নিষ্পত্তির হার) যদি একটু বেশি হয়, অর্থাৎ ১০০টা কেস (মামলা) হলে, যদি আমরা ১২৫টা ডিসপোজাল (নিষ্পত্তি) করতে পারি, তাহলে দেখা যাবে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে মামলাজট কমে আসবে।’
মামলাজট কমলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমে আসবে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন যে অবস্থা (মামলাজট) হয়েছে, তা থেকে আমরা বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারব। বিচার পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর আর ঘুরতে হবে না।’
খুব শিগগির ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের কাজ শুরু হবে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যাঁরা আদালতে আসেন, তাঁদের এখানে বসার জায়গা নেই, পানি খাওয়ার জায়গা নেই, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানোর পর ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার হয়েছে। ঢাকার আদালতে যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামান, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী, ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল প্রমুখ।