মৃত ব্যক্তির অঙ্গদান নিয়ে সচেতনতা কম

‘মৃত ঘোষিত ব্যক্তি’ সারাহ্‌ ইসলামের কিডনি দানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। বিএসএমএমইউয়ের সারাহ্ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে
ছবি: প্রথম আলো

দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা দরকার। মৃত ঘোষিত ব্যক্তির কিডনি এ সমস্যার বড় সমাধান হতে পারে। তবে এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। বহু মানুষ কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে যাচ্ছেন।

‘মৃত ঘোষিত ব্যক্তি’ সারাহ্‌ ইসলামের কিডনি দানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়। দেশে এটাই কোনো মৃত ঘোষিত ব্যক্তির অঙ্গদানের প্রথম ঘটনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিল্টন হলে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানটি হয়। বিএসএমএমইউয়ের সারাহ্ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এক বছর আগে এই দিনে সারাহ্ ইসলামের দুটো কিডনি ও দুটো কর্ণিয়া পৃথক চারজন মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ ও কিডনি ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকেরা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সারাহ্ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেলের সভাপতি অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তিন মাস আগে সারাহ্‌র কিডনি–গ্রহীতা একজন নারী মারা গেছেন। অন্যজন শামিমা আক্তার। তিনি ভালো আছেন। অনুষ্ঠানে শামিমা আক্তারের একটি ভিডিও বার্তা শোনানো হয়।

একটি মহৎ কাজ করার জন্য মৃত ঘোষিত প্রথম অঙ্গদাতা সারাহ্ ইসলামের মা শবনম সুলতানাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক গওহর রিজভী। তিনি বলেন, অঙ্গদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে কার্ড দেওয়া দরকার। এমন একটি কার্ড তাঁর নিজের আছে। ৩০ বছর আগে তিনি এই কার্ড করেছিলেন। সব সময় সঙ্গে থাকে।

গওহর রিজভী একটি জীবন্ত দলিল বা লিভিং উইল প্রবর্তনের জন্য সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, অনেক সময় মানুষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর্যায়ে থাকেন না, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। জীবনের শেষ সময়ে তিনি ৩ দিন বা ১২ দিন নাকি কম সময় আইসিইউতে থাকতে চান, তা তিনি লিখে রেখে যেতে পারেন। তাহলে ওই ব্যক্তির আত্মীয়দের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। এমন একটি দলিল গওহর রিজভীর নিজের আছে। দলিলটি তিনি তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনের কাছে রেখেছেন।

অনুষ্ঠানে সারাহ্ ইসলামের মা শবনম সুলতানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন অধ্যাপক বক্তব্য দেন।