ছাত্রলীগের ১৪ নেতা-কর্মীর নামে মামলার আবেদন খারিজ

৭ অক্টোবর ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে
ফাইল ছবি

হামলা-মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগের ১৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লার মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান।

আজ সকালে মামলার আবেদনটি করেছিলেন বিন ইয়ামীন মোল্লা। আবেদনে ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তিনি আদেশ দেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

মামলার আবেদনে বলা হয়েছিল, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে ৭ অক্টোবর বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। হামলায় পরিষদের ১০ থেকে ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন। পরে তাঁরা চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানেও তাঁদের ওপর হামলা হয়।

ছাত্রলীগের যে ১৪ নেতা-কর্মীর নাম মামলা নেওয়ার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন মাহবুব খান, আমিনুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, ফয়সাল মাহামুদ, রফিকুল ইসলাম, শাকিল মিয়া, তানভীর হাসান, রনি মুহাম্মদ, রাহিম সরকার, কামাল উদ্দিন, রুবেল হোসেন, নাহিদ হাসান, কাজী ইব্রাহীম ও আরিফ শাহরিয়ার।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

একই ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতার করা মামলায় পরিষদের ২৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ অক্টোবর তাঁদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ১১ অক্টোবর তাঁদের জামিন আবেদন আদালতে নাকচ হয়।

দুই মামলায় পরিষদের ২৪ নেতা-কর্মীর প্রত্যেককে ৭ দিন করে ১৪ দিন রিমান্ডে নিতে ১৩ অক্টোবর আদালতে আবেদন করে শাহবাগ থানার পুলিশ। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর তারিখ ধার্য রয়েছে।

আরও পড়ুন

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত, ৫ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দণ্ডিত ব্যক্তিদের সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী।