ইউএনও আপাতত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনওর দায়িত্ব পালনের বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়েছে। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত এ রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

পৃথক রিটের শুনানি শেষে গত ২৯ মার্চ হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন।

পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩৩ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের কার্যকারিতা আগামী ৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আপাতত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া সাপেক্ষে নিয়মিত লিভ টু আপিল করা হবে।’  

১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারায় ২০১১ সালে সংশোধনী আনা হয়। উপজেলা পরিষদ আইনের সংশোধিত ৩৩ (১) উপধারা অনুসারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন। ৩৩ (২) উপধারায় পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিকশৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলি পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবে বলা আছে। সংশোধিত ৩৩ ধারা সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে ২০২০ সালে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি পৃথক রিট করেন।

আরও পড়ুন