রিট শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিটটি শুনতে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনসহ নথি আজ সোমবার পাঠানো হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, বেঞ্চটির আগামীকাল মঙ্গলবারের কার্যতালিকায়  রিটটি ১৫৪ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় রিটটি ছিল। বেঞ্চের একজন বিচারপতি রিটটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। এরপর রিট শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করে আদালত প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় (১৬৯ নম্বর ক্রমিকে) রিটটি ছিল। বেঞ্চের একজন বিচারপতি রিটটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। এরপর রিট শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করে আদালত প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান।

আইনজীবী এম এ আজিজ খান আজ প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান বিচারপতি রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। এখন কার্যতালিকায় এলে রিটের ওপর শুনানি হবে।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা

এদিকে রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা–সংক্রান্ত ইসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী গতকাল রোববার আরেকটি রিট করেছেন।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে আজ এ রিট জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী কে এম জাবির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‌ইসির ১৩ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপন ও মনোনয়নপত্র পরীক্ষা–সংক্রান্ত ১৯৯১ সালের আইনের ৭ ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়া থেকে বিরত রাখার আরজিও রয়েছে রিটে। নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মো. সাহাবুদ্দিনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, বেঞ্চটির আগামীকালের কার্যতালিকায় ছয় আইনজীবীর করা রিট ৯৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

আরও পড়ুন