বিকল্প পথ প্রস্তুত, তবু চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

ক্যাপশন-বিকল্প পথ প্রস্তুত। তবু চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচল বন্ধছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কুটিরচর এলাকায় ভেঙে যাওয়া সেতুর পাশে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প পথ (ডাইভারশন রোড) নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচলে এখন কোনো বাধা নেই। তবে বিকল্প পথ নির্মাণের ১১ দিন পার হলেও এই পথে এখনো ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।

গত ১০ জানুয়ারি যানবাহন চলাচলের সময় ফেরিঘাটের আগে রৌমারীর কুটিরচর এলাকায় পুরোনো একটি সেতু ভেঙে যায়। এর পর থেকে ভারী যানবাহন ফেরিঘাটে পৌঁছাতে পারছে না। এতে চিলমারী-রৌমারী পথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

৫ এপ্রিল কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এক সপ্তাহ হলো বিকল্প পথ চালু হয়েছে। সব ধরনের যান চলাচল করছে।

যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো চিলমারী-রৌমারী পথে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি বলে আজ শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) রৌমারী-চিলমারী কার্যালয়ের নৌ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাঁরা ফেরি চালানোর জন্য প্রস্তুত। তবে যানবাহন না আসায় এখনো ফেরি চালু করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এটা নতুন ফেরিপথ। দুই মাসের বেশি সময় পথ বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী গাড়ি রুট পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল ও পাবনা হয়ে চলাচল করছে। বিকল্প পথ নির্মাণের বিষয়টি জানাজানি হলে হয়তো আবার ফেরি চলাচল সম্ভব হবে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রথমবারের মতো চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এরপর থেকে এই রুট জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।

নতুন এই ফেরিপথে ‘কদম’ ও ‘কুঞ্জলতা’ নামে দুটি ফেরি পরিচালনা করে আসছিল বিআইডব্লিউটিসি। জানা গেছে, দুটি ফেরিতে ১৫ জন করে মোট ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। তাঁদের বেতন-ভাতা ছাড়াও ফেরি দুটি সচল রাখতে প্রতি মাসে অন্তত চার লাখ টাকা খরচ করতে হয় বিআইডব্লিউটিসিকে।

আরও পড়ুন