বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলা: রিমান্ডে বিএনপির ১১ নেতা–কর্মী

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী
ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ও এর অঙ্গসংগঠনের ১১ জন নেতা–কর্মীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই আদেশ দেন।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জন আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ৫ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত ১১ আসামি হলেন—ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন খান, কলাবাগান শাখা ছাত্রদলের সদস্য মো. রবিন খান ও মো. সাগর, বিএনপির নেতা জসীম উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, মতিউর রহমান, শামীম রহমান, জামাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম এবং আবু তাহের।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গতকাল রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।

হাফিজ আক্তার বলেন, গতকাল বিকেলে পল্টন এলাকায় বিএনপির সমাবেশ ছিল। এই সমাবেশ থেকেই শামসুদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন

গতকাল বিকেলে পল্টন এলাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় হামলা ঘটনাটি ঘটে। গাড়িতে হামলা চালিয়ে দেহরক্ষী ও তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী।

শামসুদ্দিন চৌধুরীর নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সমাবেশ থেকে এই হামলা করা হয়।

হামলার ঘটনায় গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন