সব নয়, চলমান ভূমি জরিপ বন্ধ: ভূমিমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। আজ বুধবার সচিবালয়ে
ছবি, প্রথম আলো

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সব জরিপ নয়, সাম্প্রতিককালে হওয়া এবং সেই সঙ্গে চলমান জরিপগুলো বন্ধ করা হয়েছে। আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগের দিন জাতীয় সংসদে ভূমিসংক্রান্ত তিনটি বিল পাস হয়। জাতীয় সংসদে সেদিন ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল জরিপ ছাড়া পুরোনো পদ্ধতিতে দেশে যে ভূমি জরিপ চলছে, তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর ইতিমধ্যে যেসব জরিপ হয়েছে, সেগুলো বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল’ নিয়ে আলোচনার সময় ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেছিলেন।

আরও পড়ুন

আজকে সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক ভূমিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি গতকাল জাতীয় সংসদে বলেছেন আগের জরিপগুলো বাতিল করা হচ্ছে। কিন্তু আগের জরিপ অনুযায়ী ভূমির যে নিষ্পত্তি হয়েছে কিংবা ওই জরিপের ভিত্তিতে আদালতে বিচারকাজ চলছে, এখন পাইলটিং ডিজিটাল জরিপের ভিত্তিতে আগের জরিপগুলো বাতিলের ফলে ভূমির এই বিষয়গুলোর কী হবে?’

জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি কালকে যেটি বলেছি, সেটি হলো সাম্প্রতিককালে যে জরিপগুলো হচ্ছে, যেটি চলমান। আর যেগুলো হয়ে গেছে, সেগুলো নয়। আমার বলতে দ্বিধা নেই, আমার এলাকায়, ভূমিমন্ত্রীর এলাকা থেকে অভিযোগ আসছে। আমি নির্দেশনা দিয়েছি সব বন্ধ করতে। কারণ, আমরা ডিজিটাল জরিপের দিকে যাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষকে হয়রানিমুক্ত করা। এই জরিপ করতে গিয়ে সমস্যা ও জটিলতা হচ্ছে। সে জন্য আমি বলেছি সাম্প্রতিককালের চলমান জরিপগুলো সব বন্ধ।’

সংসদে পাস হওয়া ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিলে ভূমি প্রতারণা, ভূমি জালিয়াতি, অবৈধ দখলসহ আট ধরনের অপরাধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি প্রতারণা ও ভূমি জালিয়াতিসংক্রান্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর একই অপরাধ পুনরায় করলে দণ্ড হবে দ্বিগুণ।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ভূমি সংস্কার আইনের প্রসঙ্গে বলা হয়, এই আইনানুযায়ী কোনো ব্যক্তি ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখতে পারবেন না। এমনকি উত্তরাধিকার সূত্রে বেশি জমি পেলেও সেখান থেকে নিজের পছন্দমতো ৬০ বিঘা কৃষিজমি রেখে অতিরিক্ত জমি ছেড়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত কৃষিজমি নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরকার খাস করতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান ও যুগ্ম সচিব (আইন) মো. খলিলুর রহমান।

আরও পড়ুন