সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ ও পারিবারিক নির্যাতন

  • ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট বিচারাধীন মামলা: ১,৬১,২১৮টি        

  • এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন মামলা: ৩৪,৩১৪টি

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

কত কারণে কত ধরনের যে নারী নির্যাতন! এক নারী বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন, তাই ক্ষুব্ধ স্বামী ওই নারীর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দিয়েছেন। বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার চাপ দিয়ে অপর এক নারীকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। সদ্য কাজে যোগ দেওয়া একটি মেয়ে কারখানার ভেতরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ভিন্ন ঘটনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ির কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে।

এ ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে নিপীড়কের ভূমিকায় পুরুষ। নির্যাতন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এসব ভুক্তভোগী নারী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। ভুক্তভোগীদের আক্ষেপ, ‘তাঁদের সঙ্গে কেন এমন হলো!’

অসংখ্য নারী নির্যাতনের মধ্যে এগুলো কিছু উদাহরণমাত্র। উচ্চ আদালতের তথ্য বলছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিচারাধীন মামলা এখন দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট বিচারাধীন মামলা ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৮টি।

২০২২ এবং এ বছরের জুলাই পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার ৫২ শতাংশই ধর্ষণের।

এর মধ্যে ২১ শতাংশ মামলা পাঁচ বছর ধরে বিচারাধীন। যদিও ট্রাইব্যুনালের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নিয়ম রয়েছে। মামলার তদন্তের সময় মেডিকেল সনদ, ডিএনএ প্রতিবেদন (ধর্ষণের মামলায় আবশ্যক) পেতে দেরি, বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পর চিকিৎসক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) এবং মামলার বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্য পেতে বছরের পর বছর পার হয়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের আক্ষেপের জবাবে ফরাসি দার্শনিক, সমাজতত্ত্ববিদ ও নারী অধিকারকর্মী সিমন দ্য বোভোয়ার বিখ্যাত বই দ্য সেকেন্ড সেক্স–এর তত্ত্ব প্রাসঙ্গিকভাবে টানাই যায়। ১৯৪৯ সালে নারীর প্রতি নিপীড়নমূলক আচরণের বিষয়ে তাঁর লেখার সারমর্ম ছিল, ‘পুরুষেরা সমাজে প্রধান ভূমিকায় থাকা ব্যক্তি বা মুখ্য এবং তারা নারীকে গৌণ ভাবে। পুরুষ নারীকে দেখে সম্পূর্ণ তার প্রতিপক্ষ হিসেবে। যেন নারী ঠিক মানুষ নয়, ভিন্ন কিছু। আর এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই মূলত প্রতিটি স্তরে পুরুষ নারীকে নিপীড়ন করে।’

আরও পড়ুন

এই তত্ত্বের পাশাপাশি দেশে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নির্যাতনের ঘটনা বাড়তে দেখা যায়। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ও পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য থেকে জানা যায়, নির্যাতনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ধর্ষণ ও পারিবারিক নির্যাতন। গবেষণার তথ্য অনুসারে, পারিবারিক নির্যাতনের ৯৭ ভাগ ক্ষেত্রে মামলা হয় না। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হওয়া মামলার বেশির ভাগই ‘ভুয়া’ বলার যে প্রবণতা রয়েছে, তার কোনো ভিত্তি পাননি গবেষকেরা।

ওসিসিতে ভর্তি ছিলেন সাভারে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। গত ২১ আগস্ট পরিবারের সবাইকে অচেতন করে গভীর রাতে বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে হাত–পা বেঁধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় এবং ঘরের মালামাল লুট করা হয়।

৯০ শতাংশ মামলাকে তাঁরা সত্য বলছেন। অভিযোগ গ্রহণে দেরি, ভুল ধারায় মামলা করা, সাক্ষ্য–প্রমাণের অভাব, আলামত নষ্ট হওয়া, সাক্ষীকে উপস্থিত করতে না পারা ইত্যাদি কারণে অনেক সময় অভিযোগ প্রমাণ করা যায় না; বরং মামলা তদন্তে অদক্ষতা ও মামলা পরিচালনায় গাফিলতি ও দীর্ঘসূত্রতায় বিচারহীনতার শিকার হচ্ছেন অনেক নারী।

এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যে আজ ৩ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে ‘নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ’ বা সিডও দিবস।

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি
আরও পড়ুন

১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিডও সনদ কার্যকর হয়। সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে। শুরুতে চারটি ধারার ওপর আপত্তি ছিল। পরে ২ ও ১৬ (১) (গ) ধারার ওপর আপত্তি রেখে বাকি দুটি থেকে তুলে নেওয়া হয়। সিডও সনদের ২ ধারায় নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনের সংস্কার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং ১৬ (১) (গ) ধারায় বিয়ে ও পারিবারিক আইনে সম–অধিকারের কথা বলা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৯ হাজারের বেশি এবং এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে ১৮ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। দুটি বছরেই মামলার ৫২ শতাংশ ধর্ষণের, আগের ৪ বছরে এ হার ৪৮ শতাংশের নিচে ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে এ সরকার সব সময় তৎপর। সরকার নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।

ধর্ষণের মামলা বেশি

কামরাঙ্গীরচরের একটি পাঞ্জাবির কারখানায় সুতা কাটার কাজ নিয়েছিলেন এক তরুণী (১৯)। কাজে যোগ দেওয়ার ৪ দিনের দিন গত ২১ আগস্ট কারখানার ভেতরে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। গত ২৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) গিয়ে মেয়েটির মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়।

ওই সময় মেয়েটি ওসিসিতে ভর্তি ছিলেন। মেয়েটির ভ্যানচালক স্বামী প্রথম আলোকে জানান, দুপুরের খাবারের বিরতির সময় অন্যদের মতো তাঁর স্ত্রীও বাসায় যেতে চাইছিলেন। কারখানার মালিক ঘর ঝাড়ু দিয়ে যেতে বলেন। পরে ফাঁকা কারখানায় মালিক তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। মালিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মেডিকেল পরীক্ষায় মেয়েটির ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ওসিসির সমন্বয়কারী আফরোজা বেগম।

আরও পড়ুন

ওসিসিতে ভর্তি ছিলেন সাভারে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। গত ২১ আগস্ট পরিবারের সবাইকে অচেতন করে গভীর রাতে বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে হাত–পা বেঁধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় এবং ঘরের মালামাল লুট করা হয়। মেয়েটির ভাই ২৮ আগস্ট প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্যের সঙ্গে তাঁদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ডাকাতির ছলে ধর্ষণের ঘটনা পরিকল্পিত বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন।

আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে সরকার। সাজা বাড়ালেও ধর্ষণের ঘটনা কমেনি। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৯ হাজারের বেশি এবং এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে ১৮ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। দুটি বছরেই মামলার ৫২ শতাংশ ধর্ষণের, আগের ৪ বছরে এ হার ৪৮ শতাংশের নিচে ছিল।

সামাজিকভাবে নিগৃহীত হতে হবে ভেবে ও আইনি কাঠামোয় কার্যকর সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকায় নারীরা বিচার চাইতে আগ্রহী হন না।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক

প্রকৃত ঘটনার চেয়ে মামলা কম

ঢাকার এক নারী এই প্রতিবেদককে জানান, তাঁর বাবার একটি জমি বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। তাঁর স্বামী জমি বিক্রির টাকার বড় একটি অংশ তাঁকে এনে দিতে বলেন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত করেন স্বামী।

২০২০ সালে ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম স্ট্যাটাস–কো অ্যান্ড রিকমন্ডেশন ফর ডমেস্টিক ভায়োলেন্স ভিকটিম ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে করা গবেষণায় বলা হয়, শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন—এ চার ধরনের পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দেশের ৮৭ শতাংশ নারী। এসব নারীর প্রায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ সালিসি বা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে মধ্যস্থতা করেন, ১ দশমিক ১ শতাংশ মামলা করেন। মামলা করা নারীরা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীরা মামলা না করে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান।

একই বছরে ‘হিডেন সেক্সুয়াল ভিকটিমাইজেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের স্কুল ও কলেজপড়ুয়া মেয়েদের ৬০ শতাংশ আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, সহপাঠী ও শিক্ষকের মাধ্যমে কখনো না কখনো ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগী হলেও উচ্চবিত্ত পরিবারের ৮০ শতাংশ এবং মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ৭০ শতাংশ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি।

ওই সংসারে মেয়েকে আর পাঠাতে চাই না। মেয়ের দেনমোহর আট লাখ টাকা। আমি বলেছি, টাকা দেওয়া লাগবে না। আমার মেয়ে বাঁচুক।
দাহ্য পদার্থে দগ্ধ মেয়েটির মা

ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে ধর্ষণের কারণ ও শিশু ধর্ষণ নিয়ে প্রকাশিতব্য গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কীভাবে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট, প্রতারণামূলক সম্পর্ক ও উন্নত জীবনের সুযোগের দেওয়ার নামে ফাঁদ তৈরি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
তিনটি গবেষণারই নেতৃত্ব দিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক। তিনি বলেন, সামাজিকভাবে নিগৃহীত হতে হবে ভেবে ও আইনি কাঠামোয় কার্যকর সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকায় নারীরা বিচার চাইতে আগ্রহী হন না।

ধর্ষণের মামলার রায়ের হার ৪ শতাংশেরও কম। তদন্ত ও মামলা পরিচালনার দুর্বলতায় অনেক মামলা প্রমাণিত হয় না। মিথ্যা মামলার হার মাত্র ১০ শতাংশ হলেও এই বিষয় তুলে ৯০ শতাংশ সত্য মামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। এসব কারণে অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হয়।

স্বামীর নিক্ষেপ করা দাহ্য পদার্থে দগ্ধ মেয়েটির মা গত ৩১ আগস্ট প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই সংসারে মেয়েকে আর পাঠাতে চাই না। মেয়ের দেনমোহর আট লাখ টাকা। আমি বলেছি, টাকা দেওয়া লাগবে না। আমার মেয়ে বাঁচুক।’

প্রতিরোধে সক্রিয় হতে হবে

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে জাতীয়, কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি রয়েছে। এসব কমিটিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, মাসিক সভাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা ও মাদক পরিস্থিতি গুরুত্ব পায়। নারী নির্যাতন বিষয়ে বেশির ভাগ সময় আলোচনা হয় না।
মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম’ এ বছর শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় সেবা দেওয়ার চেয়ে চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রকল্পের কর্মীরা।

প্রকল্প পরিচালক মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আছমা আক্তার জাহান প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্প শেষের দিকে হলেও কাজে কোনো ঘাটতি নেই। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সারা দেশে কাজ চলছে।

তবে অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুকের মতে, নারী নির্যাতন বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ অপ্রতুল। প্রতিটি স্তরে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ভুক্তভোগীকে দ্রুত বিচার পাইয়ে দিতে হবে। আসামির কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে পৃথক আইনের প্রয়োজন। এই আইনের আওতায় রাষ্ট্র ও অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ দেবেন।