চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান, সরঞ্জাম জব্দ

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার চন্দ্রনগর এলাকার নাগিন পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম, ২০ এপ্রিলছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদের চন্দ্রনগর এলাকায় নাগিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী এই অভিযান চালান।

অভিযানের সময় পাহাড় কাটার স্থানটিতে গড়ে তোলা প্রায় আটটি কাঁচা টিনের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া পাহাড়ের চারপাশে দেওয়া টিনের বেড়া অপসারণ করা হয়েছে। প্রায় ছয় মাস ধরে চন্দ্রনগর কিশোয়ান গলি এলাকার নাগিন পাহাড়ের একাংশ কেটে সমতল করা হচ্ছিল।

এ নিয়ে আজ শনিবার প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘থামছে না দুই নেতার পাহাড় কাটা’ শীর্ষক সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর জেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। অভিযানে বায়েজিদ থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।

সহকারী কমিশনার আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, ‘সদ্য পাহাড় কাটার আলামত দেখা গেছে। চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে ভেতরে রাতে পাহাড় কাটা হতো। আমরা টিনের বেড়া এবং টিলার ওপর গড়ে তোলা সাত–আটটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। সেখান থেকে কোদাল, শাবল, দড়িসহ নানা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নাগিন পাহাড়ের যে অংশে পাহাড়টি কাটা হচ্ছে, সেখানে প্রায় ১৮ শতক জমি রয়েছে। পাহাড় সমতল করে প্লট আকারে বিক্রির জন্য মূলত এই টিলা কাটা হয় বলে জানান আরাফাত সিদ্দিকী।

পাহাড় কাটার অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি ১৮ জনকে আসামি করে পরিবেশ অধিদপ্তর একটি মামলাও করেছে। এর মধ্যে বায়েজিদের জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাহার উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুদ্দিনও রয়েছেন। এ দুজনকে ওই এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে ছয় লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছিল ২০২১ সালে। তারপরও পাহাড় কাটা থামেনি।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারি হিসাবে নাগিন পাহাড়টি প্রায় ১০ একরের। এতে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড়ি ভূমি রয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় দেড় একরের মতো পাহাড় কাটা হয়েছে। দিন দিন পাহাড় কাটার পরিধি বাড়ছে। এখন দক্ষিণ পাশের ৩০ শতক পরিমাণ একটি অংশ কেটে সমতল করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

জানুয়ারি মাসে মামলার পর কয়েক দিন চুপচাপ থাকলেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে আবার পাহাড় কাটা শুরু হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস এলাকাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় পাহাড় কাটার অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের নোটিশ দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন