প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ‘নিপীড়নমূলক’ ধারা বাতিলের দাবি

পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জব্দের ক্ষমতাসহ ‘নিপীড়নমূলক ধারা’ বহাল রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাসের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও এর অধীন ১৮টি অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বলছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ, মতামত ও প্রস্তাবনা উপেক্ষা করে ‘দমনমূলক ধারাসহ’ আইনটি পাস হলে তা সাংবাদিক সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

আজ রোববার ১৯টি সংগঠনের নেতারা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। এ জন্য তাঁরা পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জব্দ সংক্রান্ত ৪২ নম্বর ধারাসহ ‘নিপীড়নমূলক’ সব ধারা বাতিল ও বিতর্কিত ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সংশোধন ছাড়া প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করবে এবং ভয়ের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখবে।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা বিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিতকরণের কথা বলা হলেও এই আইনের অধীন তদন্ত ও বিচারাধীন ৬ হাজার মামলা ডিজিটাল আইন অনুযায়ী বিচারের বিধান রাখা স্ববিরোধিতা এবং অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বিবৃতিতে বিএফইউজের পক্ষ থেকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগে দেওয়া প্রস্তাবনা এবং সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত ১৪ দফা পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি পুনর্বিন্যাসের দাবি জানানো হয়। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ‘নতুন কালাকানুনের’ বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন ছাড়াও বিবৃতিদাতা সাংবাদিক নেতারা হলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল ও সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনার সভাপতি আনিসুজ্জমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন