হিরো আলমের ওপর হামলা: রিমান্ডে দুজন, কারাগারে ৫ জন

ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিরো আলমকে মারধর করা হয়। ১৭ জুলাই, ঢাকা
ফাইল ছবি

ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টার মামলায় দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব ওই দুই আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন ছানোয়ার কাজী (২৮) ও বিপ্লব হোসেন (৩১)। কারাগারে পাঠানো পাঁচ আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান (২৭), মোজাহিদ খান (২৭), আশিক সরকার (২৪), হৃদয় শেখ (২৪) ও সোহেল মোল্লা (২৫)।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছানোয়ার ও বিপ্লবকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। বাকি পাঁচজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে বনানী থানা–পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ছানোয়ার ও বিপ্লবকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে।

আজ দুপুরে হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান বাদী হয়ে বনানী থানায় এই মামলা করেন। সুজন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীদের নাম জানেন না, তাই মামলায় আসামিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুলিশের কাছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দিয়েছেন। এখন হামলায় যাঁরা জড়িত, পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করবে।

গতকাল ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা সোয়া তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে তাঁর উদ্দেশে গালাগাল করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান। পরে নৌকার ব্যাজধারী ব্যক্তিরা ধাওয়া দিয়ে তাঁকে বাইরে আনার পর রাস্তায় ফেলে পেটান।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন