প্রথম আলো–ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সহিংস হামলায় গভীর উদ্বেগ ওয়ান-ইফরার
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সহিংস হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজ পাবলিশার্স (ওয়ান-ইফরা)। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশের তিন হাজার সংবাদ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তার প্রধান সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সাম্প্রতিক সহিংস হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে ওয়ান-ইফরা। একই সঙ্গে সংস্থাটি বলেছে, যদিও এসব হামলায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে, তারপরও ওই হামলা সংবাদমাধ্যম দুটিকে স্তব্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ধারাবাহিকতার অনন্য ইতিহাস
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম আলো সম্প্রতি ওয়ান-ইফরা ওয়ার্ল্ড প্রিন্টার্স ফোরাম থেকে দুটি পুরস্কার অর্জন করেছে। পত্রিকাটি ২৭ বছর ধরে বিরামহীনভাবে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে প্রতিদিন সকালে খবর পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করে আসছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা পত্রিকাটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছিল, যার ফলে প্রায় তিন দশকের মধ্যে (ছুটিতে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ থাকা ব্যতীত) মাত্র এক দিন প্রিন্ট সংস্করণের প্রকাশনা বন্ধ ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওয়ান-ইফরা অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে কারিগরি ও সম্পাদকীয় টিমের ঘুরে দাঁড়ানোর অসাধারণ সক্ষমতার প্রশংসা করছে। মানসিক আঘাত এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও তারা তাৎক্ষণিক ছাপা পত্রিকা প্রকাশে ফিরেছে। আজ আমরা এ বিষয়টি উদ্যাপন করছি যে তারা আবার ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর ওয়ান-ইফরা আন্তর্জাতিক বার্ষিক সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড প্রিন্টার্স সামিটে’ দুটি বিভাগে বিশ্বসেরার স্বীকৃতি লাভ করে প্রথম আলো। বছরব্যাপী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ক্রোড়পত্রে বিজ্ঞাপনের নানামুখী সৃজনশীল কৌশল ও উদ্যোগের জন্য ‘প্রিন্ট অ্যাডভার্টাইজিং ক্রিয়েটিভিটি’ বিভাগে এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সাহসী সাংবাদিকতা ও বছরব্যাপী এ–সংক্রান্ত নানামুখী উদ্যোগে তরুণ পাঠকদের যুক্ততার জন্য ‘নেক্সট জেন রিডার এনগেজমেন্ট’—এই দুই বিভাগে প্রথম আলো সেরার পুরস্কার পায়।
এর আগে গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সহিংস হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (আইএনএমএ)। এ হামলাকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর বৃহত্তম সংগঠনটি। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে পরিচালিত ইনমার সদস্যসংখ্যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২২ হাজার; যেখানে ১০০টির বেশি দেশের সংবাদমাধ্যম যুক্ত রয়েছে।