অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী

সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদসহ তিনজনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন বিএনপি নেতাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

২ নভেম্বর বিকেলে পল্টন এলাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে। গাড়িতে হামলা চালিয়ে দেহরক্ষী ও তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী।

শামসুদ্দিন চৌধুরীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সমাবেশের মিছিল থেকে এই হামলা করা হয়।

হামলার ঘটনায় সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে রফিকুল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০–৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরপরই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১১ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাঁরা এখন কারাগারে।

আরও পড়ুন

আমাকেও মারধর করা হয়েছে: বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী

ওই ১১ আসামি হলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন খান, কলাবাগান শাখা ছাত্রদলের সদস্য মো. রবিন খান ও মো. সাগর, বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, মতিউর রহমান, শামীম রহমান, জামাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম এবং আবু তাহের।

আরও পড়ুন

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলা: রিমান্ডে বিএনপির ১১ নেতা–কর্মী