ইভিএমে কারচুপির প্রমাণ পেশ করা ইসি ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়

সুজন লোগো

ইভিএম ও এর সোর্সকোড শুধু নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে থাকায় অন্য কারও পক্ষে যন্ত্রটি দিয়ে কারচুপি প্রমাণ করা অসম্ভব বলে মনে করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে দেওয়া এক চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করেছে সুজন। সিইসিকে দেওয়া চিঠিতে সই করেছেন সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

গত ২৮ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন জানায়, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপি হলে কেউ যাচাই করতে পারবে না। ভোট গণনার পর যে কার্ডের (অডিট কার্ড) মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করা হয়, সেই কার্ড পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করা সম্ভব।

এরপর গত ২৯ আগস্ট নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলে ইভিএমে ভোট হবে না। আর ৩১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ইভিএম ব্যবহার করে যে কারচুপি করা যায়, তা ইসিতে এসে প্রমাণ করতে সুজনকে চ্যালেঞ্জ জানান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সিইসিকে চিঠি দিল সুজন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান ইভিএম দিয়ে যে প্রশ্নাতীতভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে, তা প্রমাণের দায়িত্ব বা ‘বার্ডেন অব প্রুফ’ কমিশনের, অন্য কারও নয়। আর যেহেতু অন্য কারও কাছে ইভিএম ও এর সোর্সকোড নেই, তাই তাদের পক্ষে ইভিএম দিয়ে কারচুপির প্রমাণ উত্থাপন করাও অসম্ভব।

চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে সুজন বলেছে, ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন, এর অধীন কর্মকর্তা, কারিগরি টিম ও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রভাবিত করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ইসি ও ইভিএমের ওপর আস্থাহীনতাই বড় সমস্যা, যা দূর করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কমিশনের।

আরও পড়ুন

ইসিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার সুজনকে বক্তব্য উপস্থাপনের যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে কোনো আপত্তি নেই বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সুজন বলছে, এটি অপ্রয়োজনীয়। কারণ, সংবাদমাধ্যমে লিখিতভাবে যা উত্থাপন করা হয়েছে, এর বাইরে তাদের তেমন কিছু বলার নেই।

সুজন বলছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে তারা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে অত্যন্ত আগ্রহী। বিষয়টি নিয়ে সুজন গত ১৮ মার্চ সিইসিকে খুদে বার্তাও দিয়েছিল। জবাবে সিইসি স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত সুজন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পায়নি।