এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ কারাগারে
এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ পেতে সহায়তা, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
গত ১৭ আগস্ট দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ফিরোজ হোসেনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। আসামির তালিকায় সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী পরিচালক নাসরিন ইসলাম রয়েছেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ মামলায় ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠান।
দুদক জানায়, অবৈধভাবে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করে, ঋণ অনুমোদন দিয়ে, ঋণ বিতরণ করে এবং ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে এক্সিম ব্যাংক পিএলসি, হেড অফিস করপোরেট শাখা, ঢাকার ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং আত্মসাৎ করা টাকার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা গোপন করতে বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগে মামলাটি হয়।
দুদকের প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংকের ঋণ আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। উভয় পক্ষে শুনানি নিয়ে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
আদালতে পাঠানো দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, ঋণের বিপরীতে জামানতের বিষয়টি উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও কোনো ধরনের যাচাই–বাছাই না করে বা ঋণ প্রস্তাবগুলো ফেরত না পঠিয়ে কমিটির সভাপতি হিসেবে ফিরোজ হোসেন অসৎ উদ্দেশ্যে, পরস্পর যোগসাজশে, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করে বোর্ডের মাধ্যমে তা অনুমোদন করিয়ে ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আত্মসাতে সহায়তা করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। জামিন মঞ্জুর করা হলে আসামি আত্মগোপন করতে পারেন এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত অথবা তদন্তকাজকে প্রভাবিত করতে পারেন। এ বিবেচনায় আলোচ্য মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে রাখা প্রয়োজন।