কোনো দেশ সংবিধানের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রস্তাব দেয়নি: প্রতিমন্ত্রী
কোনো দেশ বা সংস্থার কাছ থেকে বর্তমান সংবিধানের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের কোনো প্রস্তাব বা পরামর্শ পাননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৯-১০ বছরে তিনি এমন কোনো প্রস্তাব বা পরামর্শের বৈঠকে অংশ নেননি। এমনকি কোনো দেশ বা সংস্থা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অন্য সহকর্মীদেরও এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা (বিরোধীরা) কেন এসব কথা বলছে, আমি জানি না। তবে আমরা কোনো দেশ বা সংগঠনের কাছ থেকে এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি।’
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রয়োজন নেই। জাতিসংঘ যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ বা ব্যাপক সংঘাতের পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে পরিস্থিতি অনেককাল আগে সে রকম ছিল। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। এই প্রচেষ্টা প্রত্যয়িত (সার্টিফাই) করার জন্য ইসি বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির দেওয়া নির্দেশনা প্রতিপালন করবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অতীতে যা বলেছিলাম, তা অপরিবর্তিত রয়েছে।’ তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের জন্য সন্তোষজনক না হলে তারা ফিরে আসতে পারে। কিন্তু এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে যাঁরা প্রত্যাবাসনের জন্য ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন, জাতিসংঘের সংস্থা তাঁদের খাদ্য সরবরাহ করেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। অবশ্যই জাতিসংঘ এটি দেখবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের বক্তব্য প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন ও অসম্মান করে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি কোনো বড় মাপের প্রত্যাবাসন নয়। যেহেতু সংখ্যাটি নগণ্য, তাই আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে পারি, যদি এটি কাজ না করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এর বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। সরকার ইউএনএইচসিআরকে অবহিত করেছে।’