দেশভাগের মতো বাংলা ভাষায়ও অনেক ভাগ হয়েছে

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শুরু হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসর। চার দিনের এ আয়োজন চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত
ফাইল ছবি

সব মানুষের আগে নিজের অবস্থানটা ঠিক করা দরকার। এই অবস্থানের পরিচিতি তৈরি হয় মানুষের ভাষা, জাতিগত পরিচয় থেকে। বাংলা যেমন অনেকবার ভাগ হয়েছে, তেমনি বাংলা ভাষাও ভাগ হয়েছে। দেশ যেমন ভাগ হয়, সেভাবে ভাষার ভেতরও অনেক রকম ভাগ প্রবেশ করেছে। ভাবনার নিরিখে বুঝতে হবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি।

ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিন আজ শনিবার সকালে বাংলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত হয় ‘বাঙালির চিন্তার ইতিহাস: দায় ও সংকট’ শীর্ষক আলোচনা। সেখানেই উঠে এল এসব কথা।

আলোচনায় অংশ নিয়েছেন ভারতের লেখক ও অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য এবং বাংলাদেশের লেখক ও চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ খান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, লেখক হামিম কামরুল হক। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখ করা বাংলার বিশিষ্টজনদের একটি তালিকা তুলে ধরেন সলিমুল্লাহ খান। এই তালিকায় সে সময়ের অনেক বিশিষ্টজনদের নামের অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলা ভাষার চিন্তা কখনো একরকম ছিল না। সেই সময় বঙ্কিমচন্দ্র দার্শনিক বা ইতিহাসবিদ অনেকের নামই এই তালিকায় উল্লেখ করেননি। ১৮৭৪ সালেও বাংলা একবার ভাগ হয়েছে। বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন

বাঙালির চিন্তার ইতিহাসের দায় কার প্রশ্নের জবাবে তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, বাঙালির প্রথম প্রয়োজন আত্মপরিচয় খুঁজে বের করা। বাঙালির ইতিহাস মানে নানা বিষয়ের সমন্বয় করে এক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারা। চিন্তার জায়গা কতটুকু প্রশ্নে সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশে যা জাতি হিসেবে ধরা হয়, ভারতে তা রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। রাষ্ট্র ও জাতির পার্থক্য বুঝতে হবে। পশ্চিম বাংলার জাতীয়তার কাঠামোর ইতিহাসকে যেভাবে এখানে সমর্থন করা হয়, তা–ও খণ্ডিত হওয়ার ইতিহাস। আলোচনার একপর্যায়ে উঠে আসে বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদ এবং বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি তৈরি হওয়ার পেছনের ইতিহাস।  

আলোচনাপর্ব শেষে পাঠক ও শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বক্তারা।

আরও পড়ুন