তেল চুরি বন্ধে জ্বালানি বিভাগের ৩ নির্দেশনা

জ্বালানি তেলফাইল ছবি: রয়টার্স

সরকারি খাতে জ্বালানি তেল চুরি, তেলে ভেজাল মেশানো নিয়ে টানা কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এ নিয়ে জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) গঠিত একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ করছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) অনুসন্ধান করছে। এর মধ্যেই জ্বালানি তেল খাতের অনিয়ম রোধে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

জ্বালানি তেল আমদানির একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিপিসি। এর অধীনে তিন সরকারি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা বাজারে তেল বিক্রি করে। এ চারটি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়ে গত ২৬ অক্টোবর একটি আদেশ জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। এতে বলা হয়, বিপিসির অধীন বিপণন কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে আছে, প্রধান স্থাপনা এবং ডিপোতে যথাসম্ভব স্থায়ী মিটার রিডার ও গেজার দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। অস্থায়ী দক্ষ কর্মচারীকে মিটার রিডার বা গেজার হিসেবে কাজ করালে একই পয়েন্টে এক মাসের বেশি সময় নিয়োজিত রাখা যাবে না। এক মাস পর তাঁকে ডিপোর অন্যত্র কাজে নিয়োজিত করতে হবে। অস্থায়ী দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক কে, কোথায়, কত দিন কাজ করছেন; তার একটি রেজিস্ট্রার ডিপো ইনচার্জ সংরক্ষণ করবেন। এসব নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে নিজ নিজ স্থাপনা ও ডিপো ইনচার্জ ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আদেশে।

আরও পড়ুন

কিছু সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিন কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে বিপিসি। এতে বলা হয়, ট্যাংকলরির হালনাগাদ সক্ষমতা প্রতিবেদন দেখে তেল দিতে হবে। ভেজাল রোধে আধুনিক ল্যাব স্থাপন করতে হবে। অবৈধ উৎস থেকে তেল সংগ্রহ ও বিক্রি বন্ধে ডিপো থেকে ফিলিং স্টেশনের তেল নেওয়ার তথ্য নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। জ্বালানি তেলের অনিয়ম, ভেজাল ও চুরি বন্ধে চট্টগ্রামের প্রধান স্থাপনাসহ সব ডিপোর কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় আনতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত সরকারের সময় জ্বালানি তেলের সব কটি ডিপো স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় আনার উদ্যোগ নিয়েছিল বিপিসি। দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরে সেটি থেমে যায়। এখন নতুন করে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ডিপো স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিপিসি।

আরও পড়ুন