গরম সহজে কমছে না

দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ছবিটি গতকাল রোববার রাজধানীর গ্রিনরোড থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালাম
দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ছবিটি গতকাল রোববার রাজধানীর গ্রিনরোড থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালাম

ঢাকাসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই করছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের এই গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে। কিন্তু গরম সহজে কমছে না। বৃষ্টি হলে হয়তো তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু বৃষ্টিতে বিরতি পড়লে উষ্ণতার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে।

গরমের মধ্যে চারদিকে বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ চলছে। সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ছাড়া বৃষ্টিশূন্য হয়ে পড়েছে দেশ। গতকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে আজ সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সিলেট ও তেঁতুলিয়ায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রংপুরে ৩ ও ময়মনসিংহ জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১৮ মিলিমিটার। অন্যান্য বিভাগীয় শহরে কোনো বৃষ্টি নেই।

রাজধানী ঢাকায় সবশেষ ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল ১৮ মে। এরপর থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে এই অঞ্চলে। তাপপ্রবাহের মাত্রা খুলনা ও যশোর অঞ্চলে আরও বেশি। গতকাল দেশের এই দুই জেলায় সবচেয়ে বেশি ছিল গরম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা, চাঁদপুর, খুলনা ও নোয়াখালীর ওপর দিয়ে বয়ে চলা এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ২৫ অথবা ২৬ মের আগে অন্তত ঢাকায় জোরালো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেক আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এই সময় দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাসে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে। শরীরে তাই প্রচুর ঘাম হয়। বৃষ্টির বিরতি পড়লে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তা ছাড়া এ সময় দিনের ব্যাপ্তিও দীর্ঘ। সূর্যের প্রখরতা বেশি থাকে। এসব কারণে গরমে অস্বস্তিবোধ বেড়ে যায়।