মৌসুমীর গান ও তানজিন তিশার নাচে মুগ্ধ দর্শক

কথামালার ফাঁকে গান করেন মৌসুমীও l প্রথম আলো
কথামালার ফাঁকে গান করেন মৌসুমীও l প্রথম আলো

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। র‍্যাডিসন ব্লুর মোহনা মিলনায়তনে হঠাৎ নিভে গেল আলো। বুঝতে বাকি নেই শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান। সবার চোখ তখন মঞ্চে। বেজে উঠল সুর লহরি। মোমবাতির আলোয় মঞ্চে এল একদল নৃত্যশিল্পী। ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে’ গানের সঙ্গে পরিবেশন করলেন নাচ।

প্রাপণ একাডেমির শিল্পীদের এই নাচ শুরুতেই জমিয়ে তোলে অনুষ্ঠান। এভাবেই এগিয়ে যায় সানসিল্ক-প্রথম আলো ঈদফ্যাশন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের আয়োজন। শিল্পীরা পরপর তিনটি গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন। শেষ করেন বৃষ্টি বন্দনা করে—‘বুকের ভেতর মেঘ বাজে’ গানটির সঙ্গে বৃষ্টিই যেন নামান শিল্পীরা।

নাচের পর একে একে চলে চার বিভাগে নতুন পোশাকের ক্যাটওয়াক। প্রায় আধঘণ্টা ক্যাটওয়াকের পর এবার গান। উপস্থাপক স্বাগতার আহ্বানে মঞ্চে আসেন তাঁরই ভাইবোন সভ্যতা ও সন্ধি। সভ্যতার হাতে পারকিউশন, সন্ধির কাঁধে গিটার। এই তিন ভাইবোনের গানের দল ইতিমধ্যে ভালোই সাড়া জাগিয়েছে।

শুরু করলেন নিজেদের একটি মৌলিক গান দিয়ে—‘তোমাকে যখনি দেখেছি আমি’। গানটি সুরের আবেশ ছড়ায় মিলনায়তনে। এর রেশ কাটতে না কাটতে দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে সুর তুললেন ‘আবার এল যে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে’। লাকী আখান্দের গাওয়া সেই চিরচেনা গানটি মন ভিজিয়ে দেয় দর্শকের। এরপর সভ্যতা শোনান ‘উড়িয়ে দিয়ে হাওয়ায় চুল, দুনিয়া আমি করব জয়’। সভ্যতার পর সন্ধি গাইলেন ‘জীবনে কি পাব না ভুলেছি সে ভাবনা’। এই গানটি মাতিয়ে তোলে দর্শকদের।

গানের পর ছিল আবার ফ্যাশন কিউ। এর ফাঁকে কথামালা। এই দুই পর্ব শেষ হতেই মঞ্চে এলেন ‘রূপনগরের রাজকন্যা’ তানজিন তিশা, সঙ্গে ছিলেন সোহাগ। ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি’ গানের সঙ্গে সোহাগ ও তানজিন তিশা মাতিয়ে তোলেন মিলনায়তন। এ ছাড়া ‘ভালোবাসব বাসব রে বন্ধু তোমায় যতনে’ ও ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’ গান দুটির সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন তাঁরা।

নাচের শেষ দিকেই অনুষ্ঠানের মূল চমক। সোহাগের হাত ধরে মঞ্চে এলেন চলচ্চিত্র নায়িকা মৌসুমী। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গাইলেন কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের গান ‘এখন তো সময় ভালোবাসার’। খালি গলায় গাওয়া গানটি দর্শকদের স্মৃতিকাতর করে তোলে।