নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর কারচুপির অভিযোগ এনেছেন বিএনপিদলীয় মেয়র প্রার্থী পারভীন আক্তার। তিনি নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপিদলীয় মেয়র প্রার্থী পারভীন আক্তার রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে ওই অভিযোগ করেন।
দুপুর ১২টায় আড়াইহাজার পৌরসভার গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এখানে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কোনো এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেলা ১১টার দিকে নাগের চর মাদ্রাসা অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র ও সদাসদি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে কেন্দ্রেও বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি।
পারভীন আক্তার অভিযোগ করেন, ভোট শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা পর নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে সব কটি কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার সমর্থকেরা সিল মেরেছেন এবং কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন নিজে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছেন। বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির প্রার্থী পারভীন আক্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সুন্দর আলী বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপির প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের জানান, বিএনপিদলীয় প্রার্থী পারভীন আক্তার লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে তাঁর অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এসআই জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ‘কোনো প্রার্থী একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি থাকতে পারে না। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হয়। ওই প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়।’
আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগদলীয় সমর্থিত প্রার্থী সুন্দর আলী ও বিএনপিদলীয় মেয়র প্রার্থী পারভীন আক্তার। কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পৌরসভার ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজার ৬৭৮।