৪৫ ভাগ বাড়িতে চিকুনগুনিয়ার লার্ভা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।ফাইল ছবি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ধানমন্ডি, কলাবাগান, সেগুনবাগিচা ও মন্ত্রীপাড়া এলাকায় ৪৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তবে ডিএসসিসির অন্যান্য এলাকায় বিশেষ করে পুরান ঢাকায় এ মশার উপস্থিতি কম বলে দাবি করেছেন তিনি।

গতকাল শনিবার সকালে কাঁঠালবাগান ঢালে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত ও ধ্বংসকরণ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে তিনি এ তথ্য জানান। এই কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাঈদ খোকন বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমে চিকুনগুনিয়া ব্যাপকভাবে শহরে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার যাতে তা ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গত ২৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ডিএসসিসির পাঁচটি অঞ্চলে মশকের লাভা শনাক্তকরণ ও ধ্বংসে অভিযান চালানো হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘ডিএসসিসির অঞ্চল-১-এর ধানমন্ডি, কলাবাগান, সেগুনবাগিচা ও মন্ত্রীপাড়া এলাকায় ৪৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকাগুলোর প্রতি তিন বাড়ির একটিতে আমরা মশার লার্ভা পেয়েছি। তাই ডিএসসিসির অঞ্চল-১-এর অন্যান্য বাসা-বাড়ি ও অফিস-আদালতে মশার লার্ভা ধ্বংসে নতুন করে আরও ১৫ কর্মদিবস অভিযান চালানো হবে। এর পাশাপাশি বাড়ির মালিকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানো হবে।’

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, চিকুনগুনিয়া মশা সাধারণত বাসা-বাড়িতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র ও টায়ারের স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়। এসব মশার প্রজননস্থল নিজ দায়িত্বে বাড়ির মালিককেই ধ্বংস করতে হবে। আর নালা-নর্দমায় জন্মানো মশা নিধনে ডিএসসিসি প্রতিদিন সকাল-বিকেল দুই বেলা মশার ওষুধ ছিটাচ্ছে। তারপরও যদি কোনো এলাকায় মশক নিধনকর্মীরা না যান, ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই কর্মসূচিতে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সচিব মো. শাহাবুদ্দিন খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাউদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।