গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাসুদ রানা, গাজীপুর
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাসুদ রানা, গাজীপুর

রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়ক ও নৌ মন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে গাজীপুরে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার আন্দোলনে মহাসড়কে নামে। এর মধ্যে টঙ্গীর কলেজ গেট, কোনাবাড়ী ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভে নামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন পালন করে। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। বেলা প্রায় দেড়টা পর্যন্ত চলে তাদের আন্দোলন। এর ফলে ওই সময় দুই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে শিক্ষার্থীরা কোথাও কোনো ভাঙচুর করেনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে এবং সার্বিক বিষয় বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কোনাবাড়ী এএইচএম আরিফ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ সড়ক ছাড়াও ৯ দফা দাবিতে নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, নৌমন্ত্রীকে শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না। তাঁকে নৌমন্ত্রণালয়সহ সড়ক পরিবহনের নেতৃত্ব ছাড়তে হবে।

ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইসমতারা বলেন, কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পড়েন তিনিসহ তাঁর কয়েক সহকর্মী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পোড়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের বহনকারী লেগুনা গন্তব্যের দিকে না গিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে মহাসড়কে নামিয়ে দেয়। পরে তাঁরা প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে রিকশা নিয়ে বিকল্প পথে বাসায় পৌঁছান। তাঁর মতে, এসবের দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। দ্রুত একটা রফা হওয়া উচিত।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছে, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।