এক দিনের রিমান্ড শেষে মোজাম্মেল কারাগারে

যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এক দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মিরপুর থানা-পুলিশ। ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: হাসান রাজা
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এক দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মিরপুর থানা-পুলিশ। ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: হাসান রাজা

যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী একজন পেশাদার চাঁদাবাজ বলে দাবি করেছে পুলিশ। আজ শনিবার আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ এ দাবি করে।

এক দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার মোজাম্মেলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে মিরপুর থানার পুলিশ পুনরায় তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। তবে আসামি ও বাদীপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক গোলাম নবী মোজাম্মেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান আদালতে দাবি করেন, মোজাম্মেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আসামি মোজাম্মেল যাত্রীকল্যাণ সমিতির নাম বলে বিভিন্ন পরিবহনের মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সমিতির লোকজনের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা চেয়েছেন এবং চাঁদাও নিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। আসামি একজন পেশাদার চাঁদাবাজ। তাঁর নাম-ঠিকানা যাচাই করার জন্য থানায় বেতারবার্তা পাঠানো হয়েছে।

রিমান্ড আবেদনে পুলিশ কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, মোজাম্মেলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর সহযোগী চাঁদাবাজদের নাম-ঠিকানা জানা যাবে। বাদীর কাছ থেকে নেওয়া চাঁদাসহ মালিক সমিতির কাছ থেকে নেওয়া চাঁদার টাকা জব্দ করা সম্ভব হবে।

মোজাম্মেলের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদনে বলেন, কথিত বাদী (দুলাল) মোজাম্মেলকে চেনেন না বলে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওই বাদী বলেছেন, মামলা করিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকের দুই নেতা। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি আদালতের কাছে প্রশ্ন করেন, বাদী যখন বলছেন তিনি মোজাম্মেলকে চেনেন না, তাহলে মামলা করল কে?

কথিত চাঁদাবাজির মামলায় গত বুধবার রাতে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ । পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেদিন মোজাম্মেলের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতে দাবি করেন, যেই মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছিল গ্রেপ্তার মোজাম্মেল সেই ব্যক্তি নন । এ সময় তিনি মোজাম্মেলের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বেশ কিছু যুক্তিও তুলে ধরেন। অবশ্য পরে যোগাযোগ করা হলে বাদী দুলালও গণমাধ্যমের কর্মীদের বলেছিলেন, তিনি গ্রেপ্তার হওয়া মোজাম্মেলকে চেনেন না। দুই শ্রমিকনেতা টাইপ করা একটি কাগজ নিয়ে এসেছেন, তিনি তাতে স্বাক্ষর করেছেন মাত্র।