কুয়াশার চাদরে ঢাকা

কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে নিচে কুয়াশাঢাকা সড়ক দেখা যাচ্ছে। কুড়িল বিশ্বরোড, ঢাকা, ৭ নভেম্বর, বুধবার। ছবি: নাজনীন আখতার
কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে নিচে কুয়াশাঢাকা সড়ক দেখা যাচ্ছে। কুড়িল বিশ্বরোড, ঢাকা, ৭ নভেম্বর, বুধবার। ছবি: নাজনীন আখতার

শীত এখনো আসেনি, তবে কুয়াশাঢাকা–শিশিরভেজা ভোরে শীতের পদধ্বনি শোনা যায়। আজ বুধবার সকালে ঢাকায় মাঝারি কুয়াশা ছিল। সতেজে আলো ছড়াতে সময় লেগেছে সূর্যের।

নগরবাসী অনেকে মনে করছেন, এবার শীত শুরু হওয়ার আগে রাজধানীজুড়ে অন্য দিনের তুলনায় আজই প্রথম এত বেশি কুয়াশা দেখা গেছে। ভোরের দিকে তুলনামূলক ঠান্ডাও অনুভূত হয়েছে। কেউ কেউ ফ্যান বন্ধ করে ঘুমিয়েছেন বা গায়ে কাঁথা জড়িয়েছেন। তবে শীতের পোশাক পরার মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি বলে মনে করছেন তাঁরা।

কুয়াশায় ছেয়ে আছে চারপাশ। কুড়িল বিশ্বরোড, ঢাকা, ৭ নভেম্বর, বুধবার। ছবি: নাজনীন আখতার
কুয়াশায় ছেয়ে আছে চারপাশ। কুড়িল বিশ্বরোড, ঢাকা, ৭ নভেম্বর, বুধবার। ছবি: নাজনীন আখতার

সকাল সাড়ে সাতটা-আটটার দিকেও সূর্যের আলো কুয়াশার আড়ালে চাপা পড়ে ছিল। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মহাখালী পর্যন্ত দেখা গেছে, কুয়াশায় চারপাশ ছেয়ে গেছে। তবে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের নভেম্বর মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের নদী অববাহিকাসহ বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, এ সময় যে কুয়াশা পড়ে, তা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে না। ভোর থেকে সকাল নয়টা-দশটার মধ্যেই তা চলে যায়। ডিসেম্বরের শেষ থেকে এবং জানুয়ারি মাসে যে কুয়াশা পড়বে, তা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ওই সময়ের কুয়াশার ঘনত্ব থাকে বেশি।

কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে বিমানবন্দর সড়কের ফ্লাইওভার। এরই মধ্য দিয়ে চলছে যানবাহন। বিমানবন্দর সড়ক, ঢাকা, ৭ নভেম্বর, বুধবার। ছবি: নাজনীন আখতার
কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে বিমানবন্দর সড়কের ফ্লাইওভার। এরই মধ্য দিয়ে চলছে যানবাহন। বিমানবন্দর সড়ক, ঢাকা, ৭ নভেম্বর, বুধবার। ছবি: নাজনীন আখতার

নভেম্বর মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এ মাসে দিন ও রাতে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। তবে এ মাসে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক-দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ মাসে দেশের নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা ও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এ সময়ে দেশের নদ-নদীর অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে মৌসুমি বৃষ্টিপাতজনিত কোনো বন্যার ঝুঁকি নেই। সব প্রধান নদ–নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। কৃষি অবস্থার ক্ষেত্রে এ সময়ে দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ২ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার এবং দৈনিক গড় সূর্য কিরণকাল সাড়ে ছয় ঘণ্টা থেকে সাড়ে ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।