শহিদুল আলম মুক্ত

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম তিন মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, রাত সাড়ে আটটা, ২০ নভেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম তিন মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, রাত সাড়ে আটটা, ২০ নভেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। আজ মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।

শহিদুল আলমের মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শহিদুল আলমের জামিনের কাগজপত্রে ঠিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সেটা সংশোধনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় সে কাগজপত্র পুনরায় কারাগারে এলে সেটা যাচাইবাছাই করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহিদুল আলম বলেন, ‘মুক্তি তো প্রত্যেকের কামনা। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন নাগরিকেরা মুক্ত থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাধীন নাগরিকেরা যদি তাদের মুক্তচিন্তা বা স্বাধীনভাবে কথা না বলতে পারে, তাহলে তারা পরাধীন।’

এর আগে গত ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ৬ আগস্ট পুলিশ তাঁকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঢাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে উসকানি দিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, শহিদুল আলম তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাইবাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছে।