রাজশাহীতে আমের মুকুলে শিলাবৃষ্টির বাগড়া

ভোরের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আমের মুকুল। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, ১৭ ফেব্রুয়ারি। ছবি: শহীদুল ইসলাম
ভোরের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আমের মুকুল। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, ১৭ ফেব্রুয়ারি। ছবি: শহীদুল ইসলাম

রাজশাহীতে মৌসুমের শুরুতেই আমের মুকুলে শিলাবৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। আজ রোববার ভোররাতে রাজশাহীতে শিলাবর্ষণ হয়েছে। এতে জেলার কোনো কোনো এলাকায় আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জেলার পবা ও পুঠিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিট থেকে ভোর ৫টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত শিলাবৃষ্টি হয়। রাজশাহীতে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এক সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের শিলাবর্ষণ হয়েছে। তবে কোনো ঝড় হয়নি।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এবার রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৪১৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন আমের।

সকালে পবা উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গাছের বেশির ভাগ মুকুলের মাথা ভেঙে পড়ে গেছে। পবা উপজেলার কাটাখালী এলাকার আমচাষি লাভলু বলেন, তাঁর বাড়িতেই আমগাছ আছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, আমের মুকুলে উঠান ঢেকে গেছে। এলাকার চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন গাছে মুকুল আসার আগেই অনেক পরিচর্যা করতে হয়। আমের পেছনে চাষিরা সিংহভাগ ব্যয় করে ফেলেছেন। এলাকার আমচাষিরা এখন হতাশ।

ফল গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি শিলাবর্ষণ হয়েছে। পুঠিয়ার বাসিন্দা সোহরাব খোকন বলেন, এত শিলাবর্ষণ এই এলাকার মানুষ আগে কখনো দেখেনি। এলাকার মাটি শিলায় ঢেকে সাদা হয়ে গেছে। এলাকার আম ও পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, আম আসলে বৈরী আবহাওয়ার ফসল। বৈরী আবহাওয়ার ভেতর থেকেই আমের ফলন হয়। শিলায় মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো অনেক গাছে মুকুল বের হচ্ছে। সব মিলিয়ে তিনি মনে করেন না যে এই শিলাবর্ষণের কারণে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে।