বঙ্গোপসাগরের ৪৩০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর তথ্য সংগ্রহ: সংসদে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

বঙ্গোপসাগরে জরিপ চালিয়ে গত তিন বছরে ৪৩০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর জৈবতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে সরকার। এর মধ্যে ৩৬৪ প্রজাতির মাছ, ৩৩ প্রজাতির চিংড়ি, ২১ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ১২ প্রজাতির সেফালোপোড ও স্কুইলা রয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে সাংসদ এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

মন্ত্রী আরও জানান, গবেষণা ও জরিপ জাহাজ ‘এমভি মীন সন্ধানী’এর মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে সার্ভে ক্রুজ অব্যাহত আছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২২টি সার্ভে ক্রুজ সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ২৩৭টি সামুদ্রিক মাছ শনাক্ত করেছে।

সরকারি দলের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৪২ দশমিক ৭৭ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ২০০১-০২ অর্থবছর থেকে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর বাদে প্রতি অর্থবছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ২০০১-০২ অর্থবছরে উৎপাদন হয় ১৯ লাখ টন। ২০০২-০৩ অর্থবছরে ২০ লাখ টন, ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ২১ লাখ টন, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ২২ লাখ টন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ২৩ লাখ টন। তবে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে ১৪ লাখ টন মাছ উৎপাদিত হয়েছিল।

প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ৩০ দশমিক ৬২ লাখ টনে দাঁড়ায়। পরের প্রতিবছর উৎপাদন বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছিল ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ টন।

দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার
সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের উচ্চ ও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ২০ হাজার ৪৪২টি ও হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৫২টি এবং অধস্তন আদালতগুলোতে ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৬৫২টি বিচারাধীন।