কিডনি চুরির মামলা: সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

নাটোরের বেসরকারি জনসেবা হাসপাতালে রোগীর শরীর থেকে কিডনি চুরির ঘটনায় করা মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন। আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যও সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পেটে ব্যথা নিয়ে ২০১৬ সালে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ের জনসেবা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সিংড়া উপজেলার ফজলু বিশ্বাসের স্ত্রী আসমা বেগম। পরে কিডনির পাথর অপসারণ করতে রোগীর দেহে অপারেশন করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এম এ হান্নান। কিন্তু রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০১৭ সালে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এ সময় তাঁর শরীরে কিডনি না থাকার বিষয়টি জানা যায়। এ ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এম এ হান্নান, জনসেবা হাসপাতালের পরিচালক রফিকুল ইসলাম, চিকিৎসক আমিরুল ইসলামসহ ৭–৮ জনের নামে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন আসমা বেগমের স্বামী ফজলু বিশ্বাস। পরে আদালত রোগীর দেহে কিডনি রয়েছে কি না এবং থাকলে কী অবস্থায় আছে—তা জানানোর জন্য রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালককে দুই দফা নির্দেশনা দেন। এ সময় মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনটি পরীক্ষায় কিডনি না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

এ অবস্থায় ওই রোগীর শরীরের কিডনির কী হলো—তা জানানোর জন্য গতকাল বুধবার অতিরিক্ত বিচারিক হাকিমের আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ মামলাটি তদন্তের জন্য নাটোরের সিআইডি ব্রাঞ্চকে নির্দেশ দেন। ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী বদরুদ্দোজা বকুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার মধ্য দিয়ে মামলার কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। আশা করছি, সিআইডি তদন্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।’

আরও পড়ুন: