ছাদবাগানে ফুল-ফলের অপূর্ব সমারোহ

চট্টগ্রামের রাউজানের কাগতিয়া বাজারে নিজের ছাদবাগানে গাছের পরিচর্যা করছেন রাজীব চৌধুরী। গত রোববার।  ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রামের রাউজানের কাগতিয়া বাজারে নিজের ছাদবাগানে গাছের পরিচর্যা করছেন রাজীব চৌধুরী। গত রোববার। ছবি: প্রথম আলো

৭ হাজার বর্গফুটের একটি ছাদের পুরোটা জুড়ে ১১টি সারিতে ফলদ, ঔষধি, ফুলসহ ১৩০ প্রজাতির গাছের বাগান। ছাদবাগানটি গড়ে তোলার দেড় বছরের মাথায় এসে থোকায় থোকায় ধরেছে পেয়ারা, মাল্টা, বেগুন, বরই, কমলাসহ নানা ফল। ফুলের মধ্যে ফুটেছে ডালিয়া, সূর্যমুখী, গাঁদা, বাগানবিলাস, অর্কিড, রজনীগন্ধা, বেলি, শিউলিসহ নানান জাতের ফুল। বাগানের ফুল ও ফলের সুবাস ছড়িয়েছে পুরো গ্রামে।

এটি চট্টগ্রামের রাউজানের বিনাজুরী ইউনিয়নের কাগতিয়া বাজার এলাকার এক ব্যক্তির ছাদবাগানের চিত্র।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানের গাছগুলো রোপণ করা হয়েছে ইট-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি টবের মধ্যে। টবগুলো লম্বায় ৫০ আর পাশে ৫ ফুট। এ রকম ১১টি টবে রোপা গাছগুলোতে থোকায় থোকায় ধরেছে কয়েক প্রজাতির ফুল আর ফল। বাগানটির মালিক রাজীব চৌধুরী নিজে বাগানের পরিচর্যা করেন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। ১৯৯৯ সালে হাটহাজারী কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন।

বাড়ি থেকে অল্প দূরত্বে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দ্য কিং অব কাগতিয়া কমিউনিটি সেন্টারের চতুর্থ তলায় ছাদবাগানটির অবস্থান। উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগানটি গড়তে তাঁর ছয় থেকে সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাগানপ্রেমী এ বাগান দেখতে আসেন।

রাজীব চৌধুরী বলেন, ‘ইউটিউব থেকে নিয়মিত ছাদবাগানবিষয়ক ডকুমেন্টারিগুলো দেখি। সেটা নিজের বাগানের উন্নতির জন্য কাজে লাগাই।’ এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তার দিকনির্দেশনা নিয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।

রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাদবাগান কৃষির একটি নতুন সংস্করণ। খাদ্য পুষ্টি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ছাদগুলোকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করছি। যাঁরা ছাদবাগান করতে চান, তাঁদের পরামর্শ দিয়ে থাকি যেন বাগানের উন্নতি হয়।’