আজ সকালে যেকোনো সময় ফণীর ছোবল

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো রাজধানী ঢাকার আকাশেও শুক্রবার সকাল থেকেই কালো মেঘের ঘনঘটা। আর থেমে থেমে হয়েছিল বৃষ্টি। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ৩ মে। ছবি: দীপু মালাকার
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো রাজধানী ঢাকার আকাশেও শুক্রবার সকাল থেকেই কালো মেঘের ঘনঘটা। আর থেমে থেমে হয়েছিল বৃষ্টি। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ৩ মে। ছবি: দীপু মালাকার

খুলনা ও আশপাশের এলাকায় গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার সকালের মধ্যে যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘূর্ণিঝড়টি ইতিমধ্যে দুর্বল হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে আঘাত হানার আগে এটা আরও দুর্বল হয়ে যাবে। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের ওডিশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে রাত তিনটায় ভারতের গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকালের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চল (সাতক্ষীরা–যশোর–খুলনা) এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

ফণীর আশঙ্কায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষ।
ফণীর আশঙ্কায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষ।

বাংলাদেশ এবং এর উপকূলীয় এলাকায় গতকাল সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তল রয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীতে থেমে থেমে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার সারা দিন। ফার্মগেট, ঢাকা, ৩ মে। ছবি: জাহিদুল করিম
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীতে থেমে থেমে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার সারা দিন। ফার্মগেট, ঢাকা, ৩ মে। ছবি: জাহিদুল করিম

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।