দুর্বল ফণীতেই যে ছোবল

ভারতের ওডিশায় আঘাত হানার ২১ ঘণ্টা পর আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অতিক্রম করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। আরও উত্তর দিকে চলে গিয়ে সকাল নয়টার দিকে রাজবাড়ী জেলা ও আশপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছিল।

সমতল অঞ্চলে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে মেজাজি ফণীও দুর্বল হতে থাকবে এবং পরিণত হবে স্থল নিম্নচাপে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিকেলের মধ্যে ফণী নিম্নচাপে পরিণত হবে।

তবে দুর্বল হলেও ফণীর কবল থেকে সহজে ছাড় পাবে না পুরো বাংলাদেশ। উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার পথে বৃষ্টি ঝরাতে থাকবে। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সমতলে আসার পর ফণী উত্তরাঞ্চলে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের দিকে চলে যাবে। পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। এরপর আরও দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

আজ দেখা যাচ্ছে, ফণীর কারণে সারা দেশেই প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। উপকূলীয় অঞ্চলে যেমন বাইছে, তেমনি করে দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলেও বাতাসের তীব্রতা রয়েছে। স্থল নিম্নচাপে পরিণত হলে বাতাসের এই তীব্রতা কমে আসবে।

নদীতে ভাঙন। গোবরা, ঘাটাখালী, কয়রা, খুলনা। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
নদীতে ভাঙন। গোবরা, ঘাটাখালী, কয়রা, খুলনা। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

ফণীর প্রভাবে আজ ও আগামীকাল রোববার বৃষ্টি হবে বলে উল্লেখ করে আরিফ হোসেন বলেন, ফণী যখন সাতক্ষীরা বা খুলনার দিকে ছিল, তখন ওই সব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। আবার উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায়ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফণী যত উত্তরে যাবে, ততই সেসব এলাকায় বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। দেখা যাবে, শেষ দিকে সিলেটের দিকে বৃষ্টি ঝরা শুরু হবে।

উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেলেও ফণীর প্রভাবে সিলেট অঞ্চলের হাওর এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাবে। এ কথা জানান বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া । তিনি বলেন, ফণীর কারণে উত্তর ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে বৃষ্টি হবে। এ কারণে সিলেট ও আশপাশের হাওর এলাকার পানি বৃদ্ধি পাবে। তবে আপাতত অন্যান্য এলাকায় বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।