মানুষ নতুন রাজনীতির উত্থান চায়: জন-আকাঙ্ক্ষা

জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থীদের সংগঠন জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরীর মতবিনিময় সভা। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তন, ঢাকা, ১১ মে। ছবি: প্রথম আলো
জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থীদের সংগঠন জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরীর মতবিনিময় সভা। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তন, ঢাকা, ১১ মে। ছবি: প্রথম আলো

সরকারের দখলদারির বিপরীতে বিরোধী দলেরও নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থীদের নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ ‘জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’।

আজ শনিবার ঢাকায় এক মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সমন্বয়ক মজিবুর রহমান মঞ্জু এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মানুষ নতুন বিশ্বাসযোগ্য রাজনীতির উত্থান চায়।

গত ২৭ এপ্রিল জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ-এর আত্মপ্রকাশের পর আজ শনিবার বিকেলে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরীর মতবিনিময় সভা হয়। এতে কয়েকশ নেতা-কর্মী অংশ নেয়। সভায় নতুন দল গঠনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয় এবং সারা দেশে সফর ও আগ্রহী নাগরিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মজিবুর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীনেরা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বল প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসে আছে। বিপরীতে দুর্বল ও দিশেহারা বিরোধী দলও আজ নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম। এ পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধী দল কারও প্রতিই আর জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ বিশ্বাসযোগ্য নতুন রাজনীতির উত্থান চায়।

মজিবুর রহমান আরও বলেন, যে রাষ্ট্র নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, সে রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাজনীতির সংস্কারই হবে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রধান অঙ্গীকার।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত ইসলামীর যুদ্ধাপরাধী নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম, সাবেক জামায়াত নেতা আবদুল ওহাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জুকায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, শ্রমিক সংগঠক আবদুর রহমান, মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল প্রমুখ।