কুড়িগ্রামে বন্যায় পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর, কালো, হলহলিয়া, কুলকুমার নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। চরাঞ্চলের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

নদ-নদী অববাহিকার প্রায় সব চরের আমন বীজতলা, পাট, ভুট্টা ও সবজিখেত নিমজ্জিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, মাছের ঘের ও স্কুল। রৌমারী উপজেলার বাগুয়ারচরে নদীভাঙনের কারণে ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।

এদিকে সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব, উলিপুর উপজেলা বজরা ইউনিয়নের চাঁদনির চরবজরায় এবং রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুর হেলান গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে আছে।

কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান জানান, জেলায় বন্যা মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ৫০ মেট্রিক টন টাল, ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও শুকনো খাবারের ২ হাজার প্যাকেট উপজেলা পর্যায়ে বণ্টন করা হয়েছে। মজুত আছে ১৫০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ টাকা।