ন্যাড়া পাহাড় আবার ভরে উঠবে সবুজে

ন্যাড়া পাহাড়ে চারা রোপণের পর খুঁটি লাগানোর কাজ করছেন শ্রমিকেরা। গত বৃহস্পতিবার বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জের গোভানীয়া বিটের ঝরঝরিতে।  ইকবাল হোসেন
ন্যাড়া পাহাড়ে চারা রোপণের পর খুঁটি লাগানোর কাজ করছেন শ্রমিকেরা। গত বৃহস্পতিবার বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জের গোভানীয়া বিটের ঝরঝরিতে। ইকবাল হোসেন

একসময় সবুজের ঢেউ খেলত পাহাড়গুলোতে। কিন্তু লোভী মানুষের হাতে পড়ে উজাড় হয়ে যায় পাহাড়ি সে বন। দখল হয়ে যায় পাহাড়গুলো। বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জের গোভানীয়া বিটের মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কের পাশের সেই ন্যাড়া পাহাড়গুলো দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলত মানুষ। 

এখন বদলাতে শুরু করেছে সে দৃশ্য। আবার সবুজের প্রাণসঞ্চার হচ্ছে ন্যাড়া সে পাহাড়গুলোতে। বন বিভাগ বেদখল হয়ে যাওয়া পাহাড়ি সে জায়গাগুলো দখলমুক্ত করে ২৫ হেক্টর জায়গাতে গড়ে তুলছে ৬২ হাজার গাছের পরিকল্পিত বাগান।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে পাহাড়ি সে বাগান ঘুরে দেখা যায় সারি সারি চিকরাশি, গামার, নিম, হরীতকী, বহেরা আর আমলকি চারা। ১২ জন শ্রমিক চারার গোড়ায় আগাছা পরিষ্কার করে বাঁশের খুঁটি লাগানোর কাজ করছেন।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে ৬২ হাজার গাছের এই বাগান। নিজস্ব নার্সারিতে উৎপাদিত বনজ, ফলদ ও ভেষজ গাছের চারায় সাজানো হয়েছে বাগানটি। কিছুদিনের মধ্যেই বনজীবী দরিদ্র ৬২ জন ব্যক্তিকে উপকারভোগী হিসেবে একটি কমিটি করে তাঁদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে এই বন। তখন বন বিভাগের সঙ্গে তাঁরা হবেন এই বাগানের যৌথ মালিক।

এ বিষয়ে বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিনে দিনে পাহাড়গুলোতে জবর দখল বাড়ছে। দখলকৃত জায়গায় বনজ গাছ কেটে লেবু, আম, কলাসহ বিভিন্ন ফলের ব্যক্তিগত বাগান গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালীরা। বন বিভাগের বেদখল হয়ে যাওয়া জায়গা উদ্ধার করে সেখানে আমরা ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছের বাগান করছি। এ বছর ২৫ হেক্টর জায়গায় ৬২ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।’