গাইবান্ধায় সাদা পদ্মের শোভা

বিলে ফুটে আছে সাদা পদ্ম ফুল। তা-ই হাতে নিয়ে দেখাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গতকাল বিকেলে সাদুল্যাপুরের পশ্চিম ফুলবাড়ী গ্রামে।  ছবি: প্রথম আলো
বিলে ফুটে আছে সাদা পদ্ম ফুল। তা-ই হাতে নিয়ে দেখাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গতকাল বিকেলে সাদুল্যাপুরের পশ্চিম ফুলবাড়ী গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার পশ্চিম ফুলবাড়ী গ্রামের পাকুরিয়া বিল। এ বিলের পানিতে ফুটে আছে সাদা পদ্ম। এর শোভা দেখতে ছুটে আসছেন আশপাশের মানুষ। চলতি পথচারীদেরও নয়ন জুড়াচ্ছে এ ফুল।

পশ্চিম ফুলবাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘পদ্ম বিল, পুকুর কিংবা জলাশয়ে এমনিতেই জন্মে। চাষ করতে হয় না। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ পূজায় পদ্ম ফুলের প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর আমরা পাকুরিয়া বিল থেকে পদ্ম ফুল সংগ্রহ করি।’

এ গ্রামের ভেষজ চিকিৎসক খালেকুজ্জামান মণ্ডল বলেন, পদ্ম ফুল ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। সাদা পদ্ম ঔষধিগুণ সম্পন্ন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, বিলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ পাতার ওপর ভাসছে সাদা রঙের পদ্ম ফুল। ওপরে শরতের নীল আকাশ। আকাশের প্রতিবিম্ব বিলের পানিতে। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে মনোরম দৃশ্য।

বিলের ধারে দেখা মিলল কিছু দর্শনার্থীর। তাঁরা চারদিক ঘুরে দেখছেন। তাঁদের একজন মেহেদী হাসান বলেন, ‘এমন সুন্দর সাদা পদ্ম দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন দুপুর গড়িয়ে বিকেলে হলেই এখানে পদ্ম ফুল দেখতে আসি। আরও অনেকে পদ্ম ফুল দেখতে বিলের পাশে ভিড় জমান।’

জানতে চাইলে খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, পাকুরিয়া বিলে সারা বছর পানি থাকে। ফলে এ জায়গায় সাদা পদ্ম ভালো জন্মে। প্রতিবছর বর্ষায় এ পদ্ম জন্মায়। শরতে ফুল ফোটে। বর্তমানে বোরো চাষ বেড়ে গেছে। ফলে কম পানির বিলেও বোরো চাষ হয়। এ কারণে পদ্ম ফুল খুব একটা চোখে পড়ে না। তিনি আরও বলেন, পদ্ম থেকে ফুল ঝরে গেলে যে অংশ থাকে, তা ছোট ছেলেমেয়েরা খেয়ে থাকে। পদ্মপাতায় করে হাটবাজারে লবণ বিক্রি হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলের অনেকে কুলখানি অনুষ্ঠানে প্লেটের পরিবর্তে এ পাতা ব্যবহার করে থাকেন।