নারায়ণগঞ্জে ভবনধসে চাপা পড়া স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে চারতলা ভবনধসের ঘটনায় দেয়ালে চাপা পড়া স্কুলছাত্র ওয়াজিদের (১২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই দিনের চেষ্টার পর আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল দেয়াল চাপা পড়া অবস্থায় ওয়াজিদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াজিদ নারায়ণগঞ্জ শহরের বাংলা বাজার মুদি ব্যবসায়ী রুবেল মিয়ার ছেলে। সে কাশিপুর উজির আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

গত রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর বাবুরাইল এলাকায় চারতলা একটি ভবন ধসে পড়লে ওয়াজিদ চাপা পড়ে। ওই ঘটনায় এর আগে শোয়েব নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত ছয়জন।

ঘটনার দিন থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওয়াজিদের খোঁজে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তবে দুদিনেও উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী। তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সময় বেশি লাগছে। ওয়াজিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাতে দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের।

আজ সকালেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ড্রিল মেশিন দিয়ে ওই ভবনের দেয়াল কেটে এবং সেচযন্ত্র দিয়ে পানি নিষ্কাশন করে ওয়াজিদকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করেন।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন প্রথম আলোকে জানান, চারতলা ভবনধসে নিখোঁজ ওয়াজিদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে ছয়জন ডুবুরি অভিযান চালান। ভবনের দেয়াল কাটার মেশিন ও ড্রিল মেশিন দিয়ে দেয়াল কেটে সেগুলো অপসারণ করে তল্লাশি চালানো হয়। জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করা হয় সেচযন্ত্রের মাধ্যমে।

ভবনধসের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা কলির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।