বুলবুলের কারণে লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় ও সতর্কতা সংকেত জারি করায় লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদীর দুই পাড়ে দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে আছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর ঘাটে শতাধিক যান বাহন রয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস সাতটি। আটকে পড়া যাত্রীদের বেশির ভাগই ভোলা ও বরিশাল এলাকার।

ঢাকা থেকে আসা বরিশালের যাত্রী আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সংকেত পাইনি। রাতে এসে দেখি তিনটি ফেরি বন্ধ। এ কারণে সারা রাত, সারা দিন ঘাটেই বসে আছি। যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।

ফাতেমা বেগম নামের ভোলার আরেক লঞ্চযাত্রী বলেন, ‘অনেক দুর্ভোগের মধ্যে আছি। খোলা আকাশের নিচে পুরুষেরা থাকতে পারলেও মহিলাদের অনেক সমস্যা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দেখা দরকার।’

বিআইডব্লিউটিসির মজুচৌধুরীর ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. কাউছার মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ঘাট থেকে তিনটি ফেরি প্রতিদিন ভোলায় আসা-যাওয়া করে। গতকাল রাত ১০টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা করে। লক্ষ্মীপুরে ১০০টি সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬টি মেডিকেল টিমসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। জেলার সরকারি সব দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আজ সারা দিন চরাঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য মাইকিং করা হয়।