সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের আনতে ৩ জাহাজ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে আজ সোমবার তিনটি জাহাজ গেছে। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফের দমদমিয়া নৌবন্দর থেকে জাহাজ তিনটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের সমন্বয়ক আমজাদ হোসেন আজ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া নদীবন্দরের জেটিঘাট থেকে ৪টি জাহাজে করে ১ হাজার ১৯১ জন পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যান। এ ছাড়া ট্রলার ও স্পিডবোটে আরও দুই শতাধিক পর্যটক সেখানে যান। পরে বিকেলে প্রায় ৬০০ পর্যটক টেকনাফে ফেরত এলেও ৬০০ পর্যটক সেখানে থেকে যান। এ ছাড়া বুধবার রাত যাপনের জন্য থেকে যাওয়া প্রায় ৪০০ জনসহ সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করার পর আজ শুক্রবার সকাল থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের কাছে থেকে যেন ভাড়া কম নেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। হোটেলগুলোও ভাড়া কম নেয় বলে জানা গেছে।

সেন্ট মার্টিনের সি-ফাইন্ড রিসোর্ট ও সি-ব্লু রিসোর্টের পরিচালক এম এ রহিম বলেন, বেড়াতে এসে আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য ভাড়া কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

এমবি ফারহান, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ—এই তিন জাহাজ আজ টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএর সমন্বয়ক আমজাদ হোসেন বলেন, বেলা তিনটার দিকে এসব তিন জাহাজ সেন্ট মার্টিন থেকে আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে রওনা হবে।