সুন্দরবনের অবস্থা দেখতে আসছে ইউনেসকোর দল

সুন্দরবন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
সুন্দরবন। প্রথম আলো ফাইল ছবি

সুন্দরবনের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসছে। সংস্থাটির
বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির পক্ষ থেকে সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্যের পূর্বশর্তগুলো কতটুকু পালন করা হচ্ছে, প্রতিনিধিদলটি তা দেখবে।

আগামী ৯ থেকে ১৭ ডিসেম্বর দলটি বাংলাদেশে অবস্থান করবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনের চারপাশের শিল্পকারখানাগুলো দলের সদস্যরা পরিদর্শন করবেন। রিয়েক্টিভ মনিটরিং মিশন নামের ওই দলটির বেশির ভাগ সদস্যই বিজ্ঞানী ও গবেষক।

গত ৪ জুলাই আজারবাইজানের বাকু শহরে শেষ হওয়া বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভায় ওই প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের সুন্দরবনে পাঠাতে আগ্রহের কথা সরকারকে জানানো হয়। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ওই দলকে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সম্মতি দেন। সম্প্রতি প্রতিনিধিদলটির সাত সদস্যের নাম সরকারকে পাঠিয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আহমেদ কায়কাউস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি সুন্দরবনসহ দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে আগ্রহ দেখালে আমরা রাজি হয়েছি। তারা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকাগুলো পরিদর্শন করতে চেয়েছে।’

>

সাত সদস্যের দলটি ৯ থেকে ১৭ ডিসেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনের চারপাশের শিল্পকারখানা পরিদর্শন করবে।

এর আগে ২০১৫ সালে ইউনেসকো থেকে আরেকটি রিয়েক্টিভ মনিটরিং মিশন বাংলাদেশে এসেছিল। ওই মিশন থেকে দেওয়া কারিগরি প্রতিবেদনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের পাশ থেকে না সরালে সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান বাতিলের সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। ২০১৮ সালের জুনে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভায় বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে ইউনেসকো তাদের সিদ্ধান্ত কিছুটা শিথিল করে। তারা সুন্দরবনের ব্যাপারে আরেকটি রিয়েক্টিভ মনিটরিং মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুন্দরবনের চারপাশে যেসব শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই কুটিরশিল্প ধরনের। কয়েকটি সিমেন্ট কারখানা থাকলেও সেগুলো পরিবেশের সব শর্ত মেনে পরিচালনা করছে। ফলে এসব কারখানার কারণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তারা সরাসরি বিষয়টি দেখতে চাইছে, আমরা এর ব্যবস্থা করছি।’