কীর্তনখোলায় লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে কার্গো ডুবি

বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চ এম ভি শাহরুখ-২ এর সঙ্গে সংঘর্ষে হাজী মোহাম্মদ টুটু মিয়া নামের একটি কার্গো ডুবে গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চর কাউয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এই দুর্ঘটনায় লঞ্চটির সামনের দিকের তলা ফেটে যায়। পরে তা চর কাউয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার বলেন, লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হচ্ছে। নিমজ্জিত কার্গোর স্টাফদের খোঁজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত নদীতে পড়ে নিখোঁজ বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় কার্গোটি নিয়ম না মেনে নদীর বাম দিক দিয়ে আসছিল। অপরদিকে নদীর ওই অংশে বাঁক থাকা সত্ত্বেও লঞ্চটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। মূলত এতেই দুর্ঘটনা ঘটে। বিকেল ৪ টায় এই লঞ্চটি বরগুনা নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে।

প্রসঙ্গত, এই লঞ্চটি গত ১৩ নভেম্বর প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে মেঘনার চরে আটকা পড়ে। এরপর দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা দুর্ভোগের পর যাত্রীদের অন্য একটি লঞ্চ এসে উদ্ধার করে।

ওই সময় যাত্রীরা অভিযোগ করেছিলেন, লঞ্চটি যখন চরে আটকা পড়ে, তখন লঞ্চের চালকের আসনে ছিলেন মূল সুকানির সহকারী। তিনি লঞ্চটি কালীগঞ্জ চ্যানেল হয়ে চাঁদপুরের দিকে না গিয়ে পূর্ব দিকে ভোলার পথে নিয়ে যান। এরপর লঞ্চটি ভোলার চরে আটকা পড়ে।